বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তথ্যমন্ত্রী

মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আগে খালেদা জিয়া কেন প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিলেন? অথচ তিনি দিন ১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না। তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সঙ্গে ৩০-৪০ বার কথা বললেন? রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলেই মুখোশ উন্মোচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।

তিনি বলেন, তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সরকারের তখনো দুই মাস পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। হত্যাকাণ্ড সংগঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।

গতকাল তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড়ের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিং করেন।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে, দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ নানা ধরনের প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরো কারা কারা আছে, সেগুলো নিয়ে তারা ক্ষমতায় গেলে তদন্ত করবেন। আসলে এটি আমাদেরও প্রশ্ন, যিনি ঘুম থেকে দুপুর ১২টার আগে ওঠেন না, অথচ সেদিন খালেদা জিয়া বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আগে খুব সকালে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন কেন? সেদিন তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে ৩০-৪০ বার ফোনে কথা বলেছেন, এটার পেছনে রহস্যটা কি?

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে নয় শুধু, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও এত বড় একটি হত্যাকাণ্ডের এতগুলো আসামির বিচার কম হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এতজন আসামির বিচার আর হয়নি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে . হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে, মামলা করার অধিকার সবারই আছে, তবে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে বিএনপিকে। ডা. শাহাদাতকে আমি অনুরোধ জানাব, তার দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রশ্ন রাখার জন্য, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ-সবল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে এলেন না কেন? এমনকি চট্টগ্রামে যেসব কেন্দ্রীয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে নামেননি। আমির খসরু মাহমুদকে দু-একবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তার দলের স্থানীয় নেতারা প্রথমে কিছুটা সরব থাকলেও পরে ঘরের মধ্যে চলে যান। এজন্য ডা. শাহাদাতকে বলব, প্রশ্নগুলো তার দলের নেতাদের কাছে করে তাদের বিরুদ্ধেও যাতে একটা মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন