ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লভ্যাংশ নির্ধারণী পর্ষদ সভা ৬ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ১১ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে টাকা ৩৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৫৪ টাকা ৭৮ পয়সা।

সর্বশেষ রেটিং অনুযায়ী ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ডাবল প্লাস স্বল্পমেয়াদে এসটি-ওয়ান ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত গত বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ বাকি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৪০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৫৪ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪৬ টাকা ১৭ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)

২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ২০১৭ ২০১৬ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার সর্বশেষ ৬২ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৭১ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৫০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৫ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য বাকি দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন