হাক্কানী পাল্পের চার উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের মোট লাখ ১০ হাজার শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন কোম্পানিটির চার উদ্যোক্তা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, মো. গোলাম হায়দার গোলাম রসুল মুক্তাদির। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মাধ্যমে ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে পরিমাণ শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা।

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া হাক্কানী পাল্পের লাখ ১০ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন। আর মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, মো. গোলাম হায়দার গোলাম রসুল মুক্তাদির প্রত্যেকে বিক্রি করেছেন লাখ করে শেয়ার।

২০০১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হাক্কানী পাল্পের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাকি ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে হাক্কানি পাল্প। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পয়সা, যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল টাকা ১১ পয়সা। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৮২ পয়সা (রিজার্ভ পুনর্মূল্যায়নের পর) ১১ টাকা ১৯ পয়সা (রিজার্ভ পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া) আগের হিসাব বছর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ছিল ২৬ টাকা পয়সা।

এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) হাক্কানী পাল্পের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৮ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৬৫ পয়সা (রিজার্ভ পুনর্মূল্যায়নের পর) ১১ টাকা ২৮ পয়সা (রিজার্ভ পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া)

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল হাক্কানী পাল্প। ২০১৮ হিসাব বছরে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরে কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন