নটরডেম ক্যাথিড্রালের ছায়ায় ছোট খাঁচাগুলো থেকে আর ক্যানারি, প্যারাকিট এবং জেব্রা ফিঞ্চ পাখির কিচিরমিচির শোনা যাবে না। প্যারিসবাসী নগরীর ঐতিহ্যবাহী উনিশ শতকের পাখির বাজারটি বন্ধ করার পক্ষে সম্প্রতি ভোট দিয়েছেন। এই যুগে এসে এ ধরনের পাখি বেচাকেনার বাজার রাখাটা অনুচিত বলে মনে করছে মানুষ।
প্রতি রোববার সাইন নদীর উপর ইলে দে লা সিতে বসে এই বাজার। কয়েক দশক ধরে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এটি। প্যারিসের বাসিন্দারা শিশুদের নিয়ে এখানে ভিড় করেন। কিন্তু একটি প্রাণী অধিকার সংগঠন এটির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে এবং স্থানটি সংস্কারের পরিকল্পনা করে। শেষ পর্যন্ত সিটি কাউন্সিল এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্যারিসের ডেপুটি মেয়র ক্রিস্তোফ নাজদোভক্সি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, বাজারটি প্যারিস ও আশেপাশের পাখি পাচার এবং বিপন্ন প্রজাতির পাখি বেচাকেনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। এটি বন্ধ করার দ্বিতীয় কারণ হলো পাখিদের এখানে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তা আর গ্রহণযোগ্য নয়।
১৮০৮ সাল থেকেই এখানে এই বাজার বসছে। সিটি কাউন্সিল এখানকার ফুলের বাজার সংস্কার সম্পন্ন করার পর থেকেই পাখির বাজারটি বন্ধ করে দেয়ার কথাবার্তা চলছে। ২০২৩-২৫ সালের মধ্যে এখানে লোহার কাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তার আগে পর্যন্ত পাখিপ্রেমীরা এখান থেকে ১০ ইউরোতে প্যারাকিট বা ক্যানারি এবং ২৫ ইউরোতে অন্য গানের পাখি কিনতে পারবেন।
সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, ১৩ জনের কাছে এই বাজারে পাখি বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে। তবে মাত্র সাত জন এটি ব্যবহার করে এবং তাদের বেশিরভাগই পোষাপ্রাণি সরবরাহের মতো অন্যান্য জিনিসও বিক্রি করেন।
নাজদোভস্কি বলেন, আগামী মাসগুলোতে আমরা পাখি বিক্রেতাদের নতুন ব্যবসায়িক মডেল গ্রহণ করতে সহায়তা করবো।
সূত্র: রয়টার্স