এশিয়ার আকাশে ৭৩৭ ম্যাক্স ফেরাতে কাজ করছে বোয়িং

বণিক বার্তা ডেস্ক

মারাত্মক দুটি দুর্ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের উড়োজাহাজগুলো এশিয়ায় দুই বছর ধরে গ্রাউন্ডেড রয়েছে। এশিয়ার আকাশে মডেলের উড়োজাহাজ ফেরাতে মার্কিন উড়োজাহাজ জায়ান্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির এক জ্যেষ্ঠ নির্বাহী। খবর রয়টার্স।

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় বাজার নিয়ে এক বৈঠকে বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যারেন হুলস্ট এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজগুলোকে পরিষেবায় ফিরিয়ে আনতে আমরা বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রক এবং আমাদের গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পুনরায় ছাড়পত্র পেতে আমরা পৃথকভাবে নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি।

প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত পাইলট প্রশিক্ষণের পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ব্রাজিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিয়ন্ত্রকরা এরই মধ্যে ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ পরিষেবায় ফেরানোর অনুমোদন দিয়েছে। হুলস্ট বলেন, ১০টি এয়ারলাইনস পরিষেবায় ফিরিয়ে আনার পর উড়োজাহাজটি দিয়ে ১৩ হাজার ৫০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো এশীয় দেশ উড়োজাহাজটি পরিষেবায় ফেরাতে অনুমোদন দেয়নি। গত মাসে বোয়িং বলেছিল, চলতি বছরের প্রথমার্ধেই বাকি নিয়ন্ত্রক থেকে অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে ম্যাক্স উড়োজাহাজ নিষিদ্ধ করা প্রথম দেশ চীন এবং দেশটির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে এখনো কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় এবং ২০১৯ সালে মার্চে ইথিওপিয়ায় মডেলের দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর একের পর এক দেশ ম্যাক্স উড়োজাহাজগুলো গ্রাউন্ডেড করতে থাকে। এর আগে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত ফিজিতে ৭৩৭ ম্যাক্স দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল।

হুলস্ট জানান, তিনি এখনো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ম্যাক্সের চাহিদা সম্পর্কে আশাবাদী। অঞ্চলে ২০২০ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে ৭০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের হাজার ৪০০টি ম্যাক্স উড়োজাহাজের চাহিদা রয়েছে।

বোয়িংয়ের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজগুলো ১৯৬০-এর শতকে তাদের আনা প্রথম জেটগুলোর হালনাগাদ মডেল। এভিয়েশন খাতে ম্যাক্স এয়ারবাসের এ৩২০-এর মতো সিঙ্গেল আইল জেটগুলোর ভূমিকা অনেক। স্বল্পপাল্লার বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয়ার সক্ষমতা আর কারো নেই। এভিয়েশন সংস্থাগুলোর আয়ের বড় একটি উৎসও জেটগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন