ভারত থেকে আড়াই হাজার টন চিটাগুড় আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

এবারের মৌসুমে দেশে একাধিক চিনিকলের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকায় ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে চিটাগুড়ের সরবরাহ কমে এসেছে। পরিস্থিতিতে পণ্যটির সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে নেয়া হয়েছে আমদানির উদ্যোগ। ধারাবাহিকতায় ভারত থেকে আমদানি করা আড়াই হাজার টন চিটাগুড়ের চালান রেলপথে দেশে এসে পৌঁছেছে।

গত রোববার ভারতের মধ্যপ্রদেশ থেকে ছেড়ে আসা চিটাগুড় বহনকারী একটি ৫০ ওয়াগনের পণ্যবাহী ট্রেন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। এরপর শুরুতে পাবনার ঈশ্বরদীতে ২০টি ওয়াগন রেখে বাকি ৩০টি ওয়াগন নিয়ে পণ্যবাহী ট্রেনটি দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। একইভাবে সম্প্রতি হিলি স্থলবন্দরের সড়কপথ দিয়েও ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি হয়েছে। আমদানি করা এসব চিটাগুড় দিয়ে ফিডমিলগুলোয় গবাদি পশু, মুরগি মাছের খাবার তৈরি করা হবে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার ইস্টার্ন এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে এসব চিটাগুড় আমদানি করেছেন জয়পুরহাটের আনোয়ারুল হক, ফজলুর রহমানসহ কয়েকজন আমদানিকারক। ভারত থেকে প্রতি টন চিটাগুড় আমদানিতে ১১০ ডলার ব্যয় হয়েছে। আর চিটাগুড় আমদানিতে সরকারি তহবিলে রাজস্ব যুক্ত হয়েছে টনপ্রতি হাজার ২০০ থেকে হাজার ৩০০ টাকা।

আমদানিকারক আনোয়ারুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, আগে চিটাগুড়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদার পুরোটাই দেশের চিনিকলগুলো পূরণ করত। এমনকি ১৯৮৯ থেকে শুরু করে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের বাজারে আমরা পণ্যটি রফতানিও করেছি। তবে এবারের মৌসুমে কয়েকটি চিনিকলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকলেও পণ্যটির সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে আড়াই হাজার টন চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে আমদানি করা এসব গুড় খালাস করা হচ্ছে। আমদানি করা এসব চিটাগুড় দিয়ে ফিডমিলগুলোয় গবাদি পশু, মুরগি মাছের খাবার তৈরি করা হবে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শ্যামল কিশোর দাস বণিক বার্তাকে বলেন, ভারতের বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় এর আগে জয়পুরহাট, দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চিটাগুড় রফতানি করেছে। তবে এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। দেশের বাজারে সরবরাহ সংকট এড়াতে পশুখাদ্য তৈরির জন্য ভারত থেকে আড়াই হাজার টন চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে। তুলনামূলক কম খরচ ঝামেলাহীনভাবে পণ্যটি আমদানির জন্য দেশীয় আমদানিকারকরা রেলপথ বেছে নিয়েছেন।

এদিকে বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিটাগুড় রফতানি হলেও সম্প্রতি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি শুরু হয়েছে। এতে সরকারে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থলবন্দরের আয়ও বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন