বাঘাইছড়িতে পিআইও অফিসে ঢুকে ইউপি সদস্যকে হত্যা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থিত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে গুলি করে এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বেলা ১টায় ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম সমর বিজয় চাকমা (৩৮) তিনি উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নের নং ওয়ার্ডের সদস্য। ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনায় গতকাল রাত ১০টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরনবী সরকার জানান, ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা আমার সঙ্গে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন। সময় দু-তিনজন ব্যক্তি দরজার বাইরে উঁকি দিচ্ছিলেন। একজন কক্ষে প্রবেশ করে সমর বিজয়ের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় অবস্থিত। কার্যালয়ের তিনটি কক্ষের পাশেই অফিস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতেই ইউপি সদস্য কার্যালয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দুজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে তাকে অফিসেই গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা নিহত সমর বিজয় চাকমাকে তাদের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দাবি করে হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডারদের দায়ী করেছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার বিচারের দাবি জানান।

তবে বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্তু লারমা সমর্থিক জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং ইউপি সদস্যকে গুলিবিদ্ধ মৃত অবস্থায় চেয়ারেই পড়ে থাকতে দেখি। ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। আশা করছি, দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন