ভারতের স্বনামখ্যাত নাট্যসংগঠন ‘চণ্ডীতলা প্রম্পটার’
আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল ২০২১’-এ প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে বাংলাদেশের নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের ‘জাদুর প্রদীপ’
মঞ্চনাটক। ‘জাদুর প্রদীপ’
একটি মাইমোড্রামা (মূকনাট্য)। আগামীকাল তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়াল পর্বের উদ্বোধনী দিন। এদিন সরাসরি প্রদর্শিত হবে ‘জাদুর প্রদীপ’
নাটকটি। আরব্য রজনীর অমর কাহিনী ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’
অবলম্বনে নির্মিত এ মাইমোড্রামার কাহিনী পুনর্বিন্যাসসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।
ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল পর্বটিতে বাংলাদেশের ‘জাদুর প্রদীপ’ মঞ্চনাটকের পাশাপাশি আমেরিকা ও ভারতের নাট্যপ্রযোজনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নাট্য উপস্থাপনার নানাবিধ রীতির একটি বিশেষ আকর্ষণীয় ধারা মাইমোড্রামা বা মূকনাট্য মূলত মূকাভিনয় আঙ্গিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্মিত একক কাহিনীভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ দৈর্ঘ্যের নাট্যপ্রযোজনা। এটি নাট্যের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, কিন্তু দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও একনিষ্ঠ শ্রমসাধ্যের কারণে এ ধারার প্রযোজনা সুলভ নয়।
‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’-এর প্রদীপ-আলাদিন-রাজকন্যা-দৈত্যনির্ভর ধ্রুপদী কাহিনীটি সারা বিশ্বে সুপরিচিত। তবে মাইমোড্রামা হিসেবে উপস্থাপনের জন্য স্বপ্নদলের জাদুর প্রদীপে বিষয়টাকে নতুনভাবে বিন্যাস করা হয়েছে। প্রেম ও প্রতাপের দ্বন্দ্বে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ ও কল্যাণপ্রদ শক্তির বিজয়ই এ মাইমোড্রামার মূল সুর। গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্মিত জাদুর প্রদীপ প্রযোজনার মাধ্যমে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাংলার নিজস্ব মূকাভিনয় আঙ্গিক ‘বাংলা মূকাভিনয়রীতি’ সৃজন প্রয়াস পরিচালিত হয়েছে। এরই মধ্যে ‘জাদুর প্রদীপ’ প্রযোজনাটি ৩৫টি সফল মঞ্চায়নের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, কভিডকালের বিরূপ সময়ে নবতর শৈল্পিক উদ্ভাবন ভার্চুয়াল থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের নানা আন্তর্জাতিক আসরে এরই মধ্যে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’, ‘হরগজ’, ‘ডাকঘর’ প্রভৃতি প্রযোজনা আমন্ত্রিত ও সফলভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।