২৬০ কোটি ডলারের বস্ত্র ও পোশাক রফতানি ভিয়েতনামের

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত মাসে বস্ত্র পোশাক রফতানি থেকে ১৬০ কোটি ডলার আয় করেছে ভিয়েতনাম। দেশটির খাতের আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বস্ত্র উৎপাদন সূচক পোশাক উৎপাদন সূচক ২০২০ সালের তুলনায় যথাক্রমে ১৬ দশমিক শতাংশ এবং দশমিক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর ভিয়েতনাম টাইমস।

ভিয়েতনাম টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশনের (ভিআইটিএএস) চেয়ারম্যান ভু ডুক গিয়াং বলেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত কভিড-১৯ মহামারী খাতে প্রভাব ফেলতে থাকবে। চলতি বছরের প্রথম দ্বিতীয় প্রান্তিকে যদি করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়া যায়, তবে ২০২৩ সালের মধ্যে মহামারীটি নিয়ন্ত্রণের আশা করা হচ্ছে। তারপর বস্ত্র পোশাকের বাজার পুনরুদ্ধার হতে পারে।

তিনি বলেন, বস্ত্র পোশাক ব্যবসায়ীদের অবশ্যই উৎপাদন ব্যবসায়িক মডেলগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ মহামারীটি ভিয়েতনামের অনেক প্রচলিত রফতানি পোশাকসহ বিশ্বজুড়ে পোশাকের ক্রয়ক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এটি ভিয়েতনামের বস্ত্র পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চলতি বছর উৎপাদন ব্যবসা পুনরুদ্ধারে দেশীয় এবং বৈশ্বিক বাজারের পরিবর্তনগুলো আমলে নিতে হবে।

বস্ত্র পোশাক শিল্পের ব্র্যান্ড এবং বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ব্যবসায়িক মডেলগুলোতে পরিবর্তনসহ একটি টেকসই উন্নয়ন কৌশল থাকা দরকার। এজন্য খাতের ব্যবসায়ীদের আদর্শ পরিবেশগত ছাড়পত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পণ্য সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেয়া উচিত। বস্ত্র তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভিআইটিএএস বাণিজ্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সরকারকে ২০৩০-৪০ মেয়াদে বস্ত্র তৈরি পোশাক উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে।

ভিয়েতনামের শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সদ্য স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় বিশেষ করে বড় বাজারগুলোতে রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের বড় সুযোগ রয়েছে। দেশটির জাতীয় বস্ত্র তৈরি পোশাক গ্রুপ ভিনাটেক্সের মতে, চলতি বছর ভিয়েতনাম হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রফতানির লক্ষ্য নিয়েছে।

পরিচালনা পরামর্শক সংস্থা ম্যাককিনসের গত বছরের শেষদিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন শিল্পের মুনাফা ৯৩ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১০টিরও বেশি বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ড দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং ফ্যাশন সরবরাহ চেইনের দুই লাখ কর্মী তাদের চাকরি হারিয়েছেন।

মহামারী সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন কার্যক্রমের কারণে গত বছর বিশ্ববাজারে ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক বস্ত্র খাতের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল। দেশটি প্রথমবারের মতো মার্কিন বাজারের ২০ শতাংশ দখল করতে পেরেছিল এবং কয়েক মাস ধরে বাজারের অংশীদারিত্বে শীর্ষে ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন