নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল হুদা ওরফে নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাটি করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত মুজাক্কিরের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি দুই গ্রুপের মধ্যেকার সংঘর্ষে তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এ ঘটনার পর থেকে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে গতকালও নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, রিপোর্টার্স ক্লাব, তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি নামক সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়। একই দাবিতে দুপুর ১২টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নিরাপদ নোয়াখালী চাই নামে একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারেও মানববন্ধন সমাবেশ হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ মামলাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করা হলে গণমাধ্যমকর্মীসহ সামাজিক সংগঠনের নেতারা দাঁতভাঙা জবাব দেবে। তারা এ হত্যার সঠিক তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ সাত-আটজন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।