ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ইটভাটায় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সকালে উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের বাইরপাথার এলাকায় আফাজ ব্রিকস ফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম জাহাঙ্গীর আলম (১৮)। তিনি নেত্রকোনার কমলাকান্দা উপজেলার মাইজপাড়ার মৃত
শাহেদ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই ১১ শ্রমিককে আসামি করে একটি মামলা করেছেন নিহতের মামাতো ভাই কালা মিয়া। মামলার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফাজ ব্রিকস ফিল্ডে নেত্রকোনা ও পঞ্চগড় জেলার দুটি শ্রমিক দল ইট তৈরির কাজ করত। গত সোমবার সকালে পঞ্চগড় জেলার শ্রমিকদের ইট বানানোর বালি শেষ হয়ে গেলে তারা নেত্রকোনা জেলার শ্রমিকদের কাছ থেকে বালি আনতে যান। এ সময় নেত্রকোনা জেলার শ্রমিকরা বালি দিতে মানা করলে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পঞ্চগড় জেলার শ্রমিকরা বেলচা ও লাকড়ি দিয়ে নেত্রকোনার চার শ্রমিকের ওপর হামলা করেন। এতে কমলাকান্দা উপজেলা বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম (১৮), কালা
মিয়া (৪০), সবুজ
মিয়া (১৮) ও হাছান মিয়া (৩০) আহত হন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও কালা মিয়াকে প্রথমে ভালুকা সরকারি হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বেলা সোয়া ৩টায় জাহাঙ্গীর আলম মারা যান। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে পঞ্চগড়ের ১০ শ্রমিককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আব্দুর রাজ্জাক (১১), আব্দুল
কুদ্দুস (২০), আ.
ছালাম (২৬), আসাদুজ্জামান
(১৯), মিজানুর
রহমান (২০), ফরিদুল
ইসলাম (২৩), শিপন
ইসলাম (১৮), মমতাজুর
রহমান মতি (২১), জয়নাল
ইসলাম (১৮) ও স্বপন (২৫)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জীবন বর্মণ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
