নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর প্রতিবেশীর ঘরে এক নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শুক্লা রানী সাহা (৪২) ওই এলাকার সুকুমার সাহার স্ত্রী।
উপজেলার ঝানজাইল বাজার সংলগ্ন কংস নদে গোসল করতে গিয়ে সুকলা রানী সাহা নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী আরশাদ মিয়ার স্ত্রী রবিনা আক্তার (৩০) ও তার ছেলে হৃদয় মিয়াকে (১৪) আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুরের ঝানজাইল বাজারের কালীমন্দিরের পেছনের বাসায় শুক্লা রানী সাহা স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করতেন। আজ সকাল ১০টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন কংস নদে গোসল করতে যান শুক্লা। কিন্তু অনেকক্ষণ পরে বাড়ি না ফেরায় চারদিকে খোঁজ করতে থাকেন পরিবারের লোকজন। নদীতে ডুবে গেছে সন্দেহে বেলা ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সন্ধান না পেয়ে দুপুর থেকে শুক্লার রানীর কলেজপড়ুয়া মেয়ে পূজা সাহা আশপাশের বাড়িতে খুঁজতে গেলে প্রতিবেশী রবিনা আক্তারের ঘরের দরজা বন্ধ পান। ঘরের দরজা খুলে দিতে বললে রবিনা অপারগতা প্রকাশ করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে ঝানজাইল বাজার কমিটির লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা, ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রবিনার স্বামী আরশাদ মিয়া মাদক মামলায় পাঁচ মাস ধরে জেলহাজতে রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর এ আলম জানান, ওই নারীকে হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।