বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

সরকারকে কৃষকবান্ধব হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি বিশেষজ্ঞ সর্বজন গ্রহণযোগ্যদের সমন্বয়ে কৃষিপণ্য কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি, যা কৃষি মন্ত্রণালয় বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না বরং সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। সংসদে নীতিনির্ধারণ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আজ কৃষকের কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই কৃষকের সংগঠন আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। যে সংগঠন কৃষকের সুখ, দুঃখ অভাব অভিযোগ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলবে। করোনাকালে কৃষি খাতে সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের প্রণোদনা সঠিক হলেও পর্যাপ্ত ছিল না বলা যায়।

গতকাল এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কৃষি খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ . দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কৃষিবান্ধব আর কৃষকবান্ধব কথাটি যে এক নয়, করোনাকালে তা আরো সুস্পষ্ট হয়েছে। সরকার কৃষিবান্ধব হলেই কৃষকের যে উপকার হবে তা বলা যায় না। কৃষি উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কৃষক যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় তার জন্য সরকারকে কৃষকবান্ধব হতে হবে। প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে শুধু প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্থানীয় সরকার, এনজিও ব্যক্তিখাতকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। করোনার অভিঘাতে বিভিন্ন খাতে যে বিপর্যয় ঘটেছে তার খাতওয়ারি মূল্যায়ন এখনো সম্ভব হয়নি। তবে করোনা বিপর্যয়ে সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট না হলেও তা সঠিক সময়ে নেয়া হয়েছে। সময়ে সরকারি উদ্যোগের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দুভাবে সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ছিল চলমান উদ্যোগ, আরেকটি করোনা বিপর্যয়কালীন বিশেষ উদ্যোগ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন