মহামারী কভিড-১৯ জয়ের লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও চলছে টিকাদান কর্মসূচি। এরই মধ্যে দেশে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ২৩ লাখ ছাড়িয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৫৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ ও নারী ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন। এদের মধ্যে ৬০৯ জনের টিকা-পরবর্তী মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ২০ কোটির বেশি মানুষ করোনার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার ১৪তম দিনে টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮০ জন পুরুষ এবং নারী ৮৫ হাজার ৫০০ জন। তাদের ৩১ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় টিকা গ্রহণে পিছিয়ে নারীরা। দেশে টিকা গ্রহণকারী ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন পুরুষের বিপরীতে নারী ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন। সেদিক থেকে পুরুষের তুলনায় নারীদের টিকা গ্রহণের হার প্রায় অর্ধেক।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু করে সরকার। ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকাদান। করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ নাগরিককে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।