যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস দিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। একদিকে যেমন দেশটিতে কয়েক লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে, তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর অর্থনীতি। হলিউড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির অন্য অনেক খাতের চেয়ে বেশি। বক্স অফিসের দিকে তাকালে চিত্রটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
দ্য ক্রুডস: আ নিউ এজ মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের নভেম্বরে এবং এটিই ছিল উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বাণিজ্য সফল ছবি। গত শুক্র থেকে রোববারের মধ্যে দি ইউনিভার্সাল পিকচারসের এ অ্যানিমেশন সিকুয়াল ১ হাজার ৯১৩টি হল থেকে ১৭ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। এ আয় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ড্যানজেল ওয়াশিংটনের ‘দ্য লিটল থিংস’
ও ‘জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মাসিহা’
ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে।
দ্য ক্রুডস: আ নিউ এজ হলে চলছে ১৩ সপ্তাহ ধরে। দ্য ক্রুডসের সিকুয়াল যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আয় করেছে ৫ কোটি মার্কিন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এ ছবি টেনেটের আয় (৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার) ছাড়িয়ে যাবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে করোনাকালের সবচেয়ে সফল ছবি টেনেট। আন্তর্জাতিক বাজারে দ্য ক্রুডস: আ নিউ এজ ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। সব মিলিয়ে এ অ্যানিমেশন এ-যাবৎ ব্যবসা করেছে ১৫ কোটি ডলারের।
স্থানীয় বক্স অফিসের বিবেচনা চীনের উল্টো চিত্র যুক্তরাষ্ট্রে। এ বছর চীনে টিকিট বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। বছরের দুই মাস যেতে না যেতেই চীনের নির্মাতারা উপহার দিয়েছে কয়েকটি ব্লকবাস্টার—ডিটেকটিভ চায়নাটাউন থ্রি, হাই মম ও আ রাইটার’স অডেসি। এ তিনটি ছবি এবং আরো কয়েকটি মিলে নতুন চান্দ্র বর্ষের ছুটিতে চীনা বক্স অফিসে ব্যবসা হয়েছে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের। মহামারী কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিস শিগগিরই চীনের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
মিডিয়া অ্যানালিস্ট পল ডারগারাবেডিয়ান বলেন, চীনের বক্স অফিসের সাফল্য সত্যিই প্রেরণাদায়ী।’
তার অনুমান অনুযায়ী উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসের স্বাভাবিক হতে যথেষ্ট সময় লাগতে পারে। তবে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া আশা জাগাচ্ছে হলিউডে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ শতাংশ সিনেমা হল খোলা রয়েছে। তবে দেশটির সিনেমার বড় বাজার বলে খ্যাত লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক সিটি, সানফ্রান্সিসকো ও সানদিয়াগোর সিনেমা হলগুলো এখনো বন্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের টিকিট বিক্রির একটা বিরাট অংশ হয় নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায়। হলিউডের বড় স্টুডিওগুলো এ কারণে এখনো তাদের ছবি মুক্তি দিচ্ছে না।
সূত্র: ভ্যারাইটি