কভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের এক-চতুর্থাংশ ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমবি) বন্ধ ছিল। তবে এপ্রিলের ৩১ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা কম। বছরের শেষ দিকে কিছু উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ জানিয়েছেন, ২০২০ সাল ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর ছিল। অনেকেই অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার খোলা থাকা অনেক ব্যবসা আর্থিক অবস্থা নিয়ে লড়াই করছে।
প্রায় ৩৩ শতাংশ ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ের উদ্যোক্তারা মনে করেন, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে ছয় মাসের বেশি সময় লাগবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ হাজার ২০০ জন ব্যবসায়ী নেতা, ৮ হাজার কর্মচারী এবং ৬ হাজার ৬০০ জন গ্রাহক এ জরিপে অংশ নিয়েছিলেন। ৫০০ কিংবা অনধিক কর্মচারী থাকা সংস্থাগুলোকে ছোট ও মাঝারি সংস্থা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, গত বছর ২০১৯ সালের তুলনায় সংস্থাগুলোর ৫০ শতাংশেরও কম বিক্রি হয়েছে।
গ্রাহকনির্ভর শিল্প এবং অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে ব্যবসা করা সংস্থাগুলো মহামারীতে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। খাবার ও আবাসন খাতের ৩৫ শতাংশ, চারুকলা ও বিনোদনে ৩৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য ১০ শতাংশ এবং পরিবহন খাতের ৮ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধের উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে ছিল সরকারি বিধিনিষেধ, আর্থিক চ্যালেঞ্জ ও চাহিদার অভাব। সরকার ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এপ্রিলে ৬২ শতাংশ ব্যবসা বন্ধ ছিল।
স্যান্ডবার্গ বলেন, এটা স্পষ্ট যে মহামারীর প্রভাবও সমানভাবে অনুভূত হয়নি। পুরুষ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে নারী মালিকানাধীন ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ধের হার বেশি। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ ব্যবধান বেড়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসাও অন্যদের তুলনায় বেশি বন্ধ হয়েছে।