মহামারীর দীর্ঘ খরা কাটিয়ে অবশেষে স্বাভাবিক হতে চাইছে বলিউড। মার্চে শুরু হচ্ছে বড় ছবির মুক্তি। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে বলিউডে মুক্তি পাবে অন্তত সাতটি বড় বাজেটের ছবি। সঙ্গে আরো কিছু ছোট ছবিও থাকবে। বলিউডের ট্রেড অ্যানালিস্টরা অনুমান করছেন এ সময়ে হলের টিকিট বিক্রিতে কমপক্ষে ৭০০-৯০০ কোটি রুপির ব্যবসা হবে।
বলিউডের সবচেয়ে বড় প্রডাকশন হাউজ যশ রাজ ফিল্মস। তারা ২০২১ সালে তাদের ছবি মুক্তির সময়সূচি ঘোষণা করেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী তিন মাসে প্রতি সপ্তাহেই তারা নতুন নতুন ছবি মুক্তি দেবে। এর মধ্যে প্রথম যে বড় ছবিটি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে সেটি হরর কমেডি রুহি, ছবিটি মুক্তি পাবে ১১ মার্চ। এরপর সূর্যবংশী মুক্তি পাবে ২ এপ্রিল, বান্টি অর বাবলি টু ২৩ এপ্রিল। ঈদে মুখোমুখি হবে রাধে ও সত্যমেব জয়তে টু। দুটো ছবিই মুক্তি পাবে ১২ মে। এরপর ১১ জুন আসবে এইটি থ্রি এবং ২৫ জুন শামশেরা। অবশ্য সূর্যবংশী ও এইটি থ্রি ছবি দুটোর মুক্তির তারখটি এখনো নিশ্চিত নয়।
তিন মাসে যে সাতটি বড় হিন্দি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে সেগুলো থেকে সিনেমা হলে ৭০০-৯০০ কোটি রুপির ব্যবসা হতে পারে। এটা অবশ্য কম করে ধরা হিসাব, দর্শকরা সিনেমা হলে ফিরতে শুরু করলে রুপির অংকটা অনেক বেড়ে যাবে। সাধারণ সময়ে সূর্যবংশী, এইটি থ্রি, রাধে ও শামশেরা থেকেই ১ হাজার কোটি রুপির বেশি আয়ের আশা করা যেত। কিন্তু মহামারীর ধাক্কা যেহেতু ভারতে এখনো পুরোপুরি কাটেনি তাই পর্যবেক্ষকরা হিসাব করছেন রয়েসয়ে।
সূর্যবংশী ছবির প্রযোজনা ও পরিবেশনায় আছে রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট। ছবিটি মুক্তির জন্য সিনেমা হলগুলোর সঙ্গে রিলায়েন্সের বোঝাপড়া ভালোই হয়েছে। দর্শকরাও হলে ফিরতে মুখিয়ে আছেন। তাই বড় ছবি হিসেবে শুরুর দিকে সুবিধা পাবে সূর্যবংশী।
বলিউডের পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ঈদে একদিন রাধে ও সত্যমেব জয়তে টুর মুক্তি উভয় ছবিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ ছবি দুটোর টার্গেট দর্শক একই। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে বলিউডের আরো কিছু ছবি মুক্তি পাবে যার মধ্যে আছে মিমি, হাঙ্গামা টু, শেরশাহ, বব বিশ্বাস ও বেল বটম। এর মধ্যে বেল বটম মুক্তির তারিখ ঘোষিত হয়েছে—২৮ মে।
সূত্র: পিংকভিলা