কুড়িগ্রামে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরই আসামিদের কাঠগড়া ভাঙচুর

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  মামলার সাত আসামির মধ্যে একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের একজন পলাতক রয়েছেন।

এদিকে রায় ঘোষণার পরপরই আসামিরা কাঠগড়া ভাঙচুর করে বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।  পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে কারাগারে নিয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় দেন।  সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলী। এর মধ্যে জালাল গাজি পলাতক। অপর আসামী নাইনুল ইসলাম খালাস পেয়েছেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুসহ ৫ আইনজীবী। 

২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে একদল মুখোশধারী গভীর রাতে প্রবেশ করে।  তারা সুলতান মন্ডল ও তার স্ত্রী হাজেরা এবং তাদের নাতনি রোমানা ও আনিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।  এ ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে ছোট ভাই সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য আসামিদের ৫ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করেন। 

রায় ঘোষণার পর নিহতদের স্বজন রফিক আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক।

পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশিট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হলো। এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাঠগড়া ভাঙচুর করার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণই প্রমাণ করে তারা কতোটা দুর্ধষ!

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন