গত বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনা মহামারীর ধাক্কায় উৎপাদন কমা এবং লকডাউনে পর্যটন ও সেবা খাতে বিপর্যয়ের জেরে ২০২০ সালে রেকর্ড সংকোচন দেখল যুক্তরাজ্য। গতকাল দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের (ওএনএস) পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও এএফপি।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, কভিড-১৯ স্বাস্থ্য সংকটের কারণে অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে।
ওএনএস বলছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ শতাংশ। নির্মাণ খাত চাঙ্গা এবং সরকারি ব্যয় বৃদ্ধিতে সর্বশেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে। মাসওয়ারি গত নভেম্বরে ২ দশমিক ৩ শতাংশ সংকোচনের পর গত ডিসেম্বরে ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
হোটেল, গাড়ি ও সেলুন ব্যবসা করোনার অভিঘাত মোকাবেলা করে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। শেষ মাসে প্রবৃদ্ধির জেরে বছরে দুবারের মন্দা থেকে রক্ষা পেল যুক্তরাজ্য।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের সহকারী জাতীয় পরিসংখ্যানবিদ জোনাথান অ্যাথৌ জানান, করোনা টেস্ট বাড়ানো এবং সংক্রমণ মোকাবেলায় বিধিনিষেধ কঠোর করার ফল পাওয়া গেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে এসে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এই অর্থনৈতিক ধসের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলছেন, করোনার কারণে সারা দুনিয়ার অর্থনীতিই ধসের মুখে। যুক্তরাজ্যও তার বাইরে নয়। তবে পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা রীতিমতো শঙ্কা তৈরি করছে।
প্রায় সব প্রধান অর্থনীতির তুলনায় বড় আকারের সংকোচনের মধ্য দিয়ে যায় ব্রিটিশ অর্থনীতি। শুধু স্পেনের অর্থনীতি গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে অধিক সংকুচিত হয়েছে। গত বছর ইউরোপের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রটি সংকুচিত হয়েছে ১১ শতাংশ।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) গত সপ্তাহে এক পূর্বাভাসে জানায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ৪ শতাংশ সংকুচিত হবে। ভ্যাকসিন সরবরাহ বৃদ্ধি হলে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভোক্তাব্যয় চাঙ্গা হবে। ২০২২ সালের প্রথম দিকে অর্থনীতি কভিড-পূর্ব সময়ের মাত্রায় পৌঁছবে বলে আশা করছে যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
