তৃতীয় দিনে টিকা নিয়েছেন এক লাখের বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরুর তৃতীয় দিনে গতকাল এক লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এর আগের দিন টিকা নিয়েছিলেন ৪৬ হাজার ৫০৯ জন নাগরিক। দেশে টিকা নেয়ার বিষয়ে মানুষের ভয় কেটেছে বলে টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে, এমন দাবি করেছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার লাখ হাজার ৮২ জন টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৫৮৬ জন পুরুষ ২৬ হাজার ৪৯৬ জন নারী। টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ১২ হাজার ৫১৭ জন এবং ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২৫ হাজার ২২০ জন। এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে হাজার ৮৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ হাজার ৫৪৪, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ১১৪, রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ২৩৭, খুলনা বিভাগে ১১ হাজার ৩৭২, বরিশাল বিভাগে হাজার ১৮১ সিলেট বিভাগে হাজার ৫৫৯ জন টিকা নিয়েছেন। গতকাল টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৪ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২৬ জন নাগরিকের ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে আরো ৫৪১ জনের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে টিকা প্রয়োগ করা হয়। সর্বশেষ রোববার থেকে সারা দেশে একযোগে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। পর্যন্ত দেশে মোট টিকা নিয়েছেন লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ জন।

এদিকে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের যে ভীতি ছিল তা এখন একেবারেই কেটে গেছে। এখানে লাইন ধরে মানুষ আসছে, উৎসবমুখর পরিবেশে স্বপ্রণোদিতভাবে টিকা নিচ্ছে। যত দিন যাবে তত উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ নিয়ে মানুষ টিকা দিতে আসবে, এমনটাই আশা করছেন স্বাস্থ্য সচিব।

তিনি আরো বলেন, পর্যাপ্ত লজিস্টিক সরবরাহ এমনকি স্পট নিবন্ধনেরও সুযোগ রয়েছে। বয়োবৃদ্ধ ছাড়া অন্যান্য সবারই আগে থেকে নিবন্ধন করে এলে ঝামেলা পোহাতে হবে না। টিকা না পাওয়া নিয়ে অস্থিরতার দরকার নেই। সেরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও জিএভিআই (গাভি) অ্যালায়েন্স ফাইজারসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা আসছে। ভ্যাকসিনের কোনো সংকট হবে না ইনশা আল্লাহ। সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢামেক হাসপাতাল পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড তিন কোটি ডোজ কিনেছে সরকার। এর মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এর আগে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড বাংলাদেশকে উপহার পাঠায় ভারত সরকার। এর বাইরে কোভ্যাক্স থেকে মোট কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। আগামী জুনের মধ্যে আসবে কোভ্যাক্সের সোয়া এক কোটি ডোজ টিকা। চলতি মাসে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন