ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন তথা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা-সংক্রান্ত আইনে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের বাইরেও শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ দেয়ার বিধান রয়েছে। এর আওতায় কেউ ব্রোকারেজ সেবা দিতে চাইলে তাকে ট্রেক নিতে হবে।

বিধি অনুসারে, ব্রোকার হাউজ চালু করতে হলে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদেরও ট্রেক নিতে হয়। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ট্রেকহোল্ডারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের ভোটাধিকার আছে। স্টক এক্সচেঞ্জ লভ্যাংশ ঘোষণা করলে তারা ওই লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। কিন্তু ট্রেকহোল্ডারের ভোটাধিকার লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার থাকবে না।

ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের আলোকে ট্রেক ইস্যুর জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সর্বশেষ কমিশন ট্রেক ইস্যু-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সেই কমিশন খসড়া বিধিমালা অনুমোদন করে যেতে পারেনি। বর্তমান কমিশনের মেয়াদে গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ট্রেক ইস্যুর বিষয়ে সময়ক্ষেপণের পরিপেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি বিএসইসি এক চিঠিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে -সংক্রান্ত পরিকল্পনা জানানোর নির্দেশ দেয়। চিঠিতে এক্সচেঞ্জ দুটিকে পরিকল্পনা জানানোর জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএসই ট্রেক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন