ইয়াঙ্গুনে নির্বিকার সকাল

বণিক বার্তা অনলাইন

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারির পর রাজধানী নেপিদোতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সে কারণে সু চি কিংবা বন্দী শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাও যাচ্ছে না। তবে দেশটির বৃহত্তম শহর ও প্রাক্তন রাজধানী ইয়াঙ্গুনে এর প্রভাব তেমন একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেন দুনান্ত নামের সেখানকার স্থানীয় এক সাংবাদিক।

আজ সোমবার ভোরে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিসহ ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। পরে সেনা নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে দেশে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। এই আটকের তরিৎ প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সু চির দল। তবে সে আহ্বানে তেমন সাড়া অন্তত ইয়াঙ্গুনে মিলছে না বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বেন দুনান্ত আজ সোমবার ভোর থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করে সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। দুই ঘণ্টা আগের এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘ইয়াঙ্গুনে একাধিক মোবাইল ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক এখন ‘ডাউন’। তবে তারপরও শহরে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দিনের মতোই একটা নির্বিকার সকাল- লোকজন নুডুলস এবং চায়ের স্টলে বসে আছে, ট্যাক্সিগুলো জংশন থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ভিক্ষুরাও প্রতিদিনের মতো তাদের নিয়মিত কাজ সম্পন্ন করছেন। দেখে মনে হচ্ছে সবাই এটা নিয়েই কথা বলছে, কিন্তু কারো মুখে আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে না।’

এর আগে প্রায় ৪৯ বছর মিলিটারি ব্যাটনের শাসনে ছিল মিয়ানমার। ১৯৬২ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে বর্মি সামরিক বাহিনী। এরপর ২০১১ সালে ইউএসডিপিকে গদিতে বসিয়ে মিয়ানমারে রাষ্ট্রপরিচালনার ভার ছেড়ে দেয় তাতমাদো। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হলেও সামরিক বাহিনী ক্ষমতার ভাগ ছাড়েনি কখনোই। গেল কয়েকবছর গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দেশটির পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে তাতমাদোর জন্য। উপরন্তু গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ও ছিল তাদের দখলেই। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন