দেশে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ৩২৪তম দিন ছিল গতকাল। এদিনে সারা দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে কম শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে কমেছে অধিদপ্তরের নিশ্চিতকৃত মৃত্যুর সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে মোট ১৪ হাজার ৪০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষায় কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৫১৫ জন। সে হিসেবে দেশে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশে নভেল করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ৯১৬ জনের। অন্যদিকে দেশে এ যাবৎ সরকারিভাবে ২৮ লাখ ৬ হাজার ৮৭১টি ও বেসরকারিভাবে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের সার্বিক হার ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতের মোট নিশ্চিতকৃত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৫-তে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টার মধ্যে মৃত ১৪ জনের মধ্যে পুরুষ ও নারী যথাক্রমে ১২ ও দুজন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে ১০ জনই ষাটোর্ধ্ব ছিলেন। এছাড়া ৫১-৬০ বছর বয়সসীমার মধ্যে দুজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে এক এবং ৩১-৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, খুলনার এক ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন বাসিন্দা এ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৫৫ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১০৭ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৯৪৮ জন নারী। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমণ শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫১ শতাংশে।
গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরো ৪৪৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ জনে। মোট সংক্রমণ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।