আইসিবির বন্ডে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইসিবি) বন্ডে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংক। বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমাণ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুষ্ঠিত এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিএসইসির কমিশনার, উর্ধতন কর্মকর্তাসহ আইসিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংককে আইসিবির বন্ডে বিনিয়োগের জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন পুঁজিবাজারের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের পরামর্শক সুইস নাগরিক জুলিয়ান।

অবসায়নযোগ্য এই বন্ডটির মেয়াদ হবে বছর। কুপনের হার নির্ধারণ করা হয়েছে শতাংশ। একক সাবস্ক্রাইবার হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকটি এই বন্ডে বিনিয়োগ করবে। বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে আনা ঋণ পরিশোধ করবে আইসিবি। তাছাড়া স্টক ব্রোকার মার্চেন্ট ব্যাংকারদের হাজার কোটি টাকার তহবিল দেয়া হবে। এক্ষেত্রে সুদের হার হবে শতাংশ। তাছাড়া সেকেন্ডারি বাজারেও তহবিল থেকে বিনিয়োগ করবে আইসিবি।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট নিরসনে এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছিল বিএসইসি। কিন্তু তহবিলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় পুঁজিবাজারের জন্য বিকল্প উত্স থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সঙ্গে পরামর্শ করে কমিশন। তাছাড়া বিদেশী ব্যাংকের আইসিবির বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সভরেন গ্যারান্টির বিষয়টিও জড়িত। বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বিষয়টি সামনে এগোয় কমিশন। এক্ষেত্রে বিএসইসির পরামর্শক জুলিয়ান সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকটিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে রাজী করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

বন্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, সরকার কমিশন পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতায় আইসিবির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পুঁজিবাজার উন্নয়নে যে দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেখানে আইসিবির সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। এর ভিত্তিতেই বন্ডের মাধ্যমে আইসিবির জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বন্ডের যাবতীয় বৈশিষ্টসহ কিভাবে কি করতে হবে সেজন্য তিন থেকে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে যত দ্রুত সম্ভব কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া আইসিবির একজন কর্মকর্তাকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার জন্য দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। কবে নাগাদ বন্ড ইস্যু করা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইসিবিকে যত দ্রুত সম্ভব বন্ড ইস্যুর প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন