গ্রাহকের টাকা আত্মসাতে ডিপিডিসির ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরূদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। 

আজ মঙ্গলবার তাদের বিরূদ্ধে শাস্তির আদেশ জারি করেছে সংস্থাটি। তিনটি পৃথক আদেশে তাদের বিরূদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানানো হয়।

দোষী ব্যক্তিরা হলেন- ডিপিডিসির সিস্টেম কন্ট্রোল স্ক্যাডার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল ফাতাহার, সংস্থাটির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোরশেদ ও সংস্থাটির তৎকালীন এক নির্বাহী পরিচালকের গাড়িচালক আরুক মুন্সী।

পৃথক আদেশে ডিপিডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোরশেদকে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে মো. আবুল ফাতাহারকে তিরস্কার ও সাময়িক বহিষ্কার থাকাকালীন অর্ধেক বেতন দেয়া হবে।  আর গাড়িচালক আরুক মুন্সীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।  

ডিপিডিসির একটি সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে তিনবছর আগে রাজধানীর কদমতলীর অনুপম বরফকলের মালিক মো. মতিউর রহমানের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে ডিপিডিসির মাতুয়াইল ডিভিশনের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদের বিরুদ্ধে। ডিপিডিসির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএম ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক মো. মাইনুদ্দিনের মধ্যস্থতায় এই অর্থ নেয়া হয়। টাকা নেয়ার পর তারা আর সংযোগ দেননি। এমনকি মাস শেষে বিলের কোনো রশিদও দেয়া হয়নি তাকে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো লাভ হয়নি ওই বরফকল মালিকের। পরে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদের কাছে সমাধান জানতে চাইলে উল্টো অবৈধ সংযোগ ব্যবহারের অভিযোগের ভয়ভীতি দেখানো হয়। 

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী গ্রাহক ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন