সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু করতে সিনেটে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রতিনিধি পরিষদ। সোমবার উপস্থাপিত এই অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে পার্লামেন্ট ভবনে সমর্থকদের হামলার আগে এক বক্তব্যে তাদের উসকানি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এর আগে একই অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রেসিডেন্ট দুবার অভিশংসিত হয়েছেন। এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছিলেন। তবে সে যাত্রা সিনেটের ভোটাভুটিতে রক্ষা পান ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সেই সিনেটেই আবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গেল। যদিও এরই মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি নিজের মেয়াদ শেষ করে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপরও উচ্চকক্ষের এই বিচার শুধুই আনুষ্ঠানিকতা নয়। ক্ষমতায় না থাকলেও এবার অভিশংসিত হলে ট্রাম্প আগামীতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারবেন না। যদিও ট্রাম্পকে অভিশংসিত করতে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন হবে। কিন্তু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সেটা প্রায় অসম্ভভই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই অভিশংসন বিচারে প্রসিকিউটরের ভূমিকায় থাকবেন প্রতিনিধি পরিষদের নয়জন ডেমোক্র্যাট সদস্য।
সোমবার তারা হাউজের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে সঙ্গে নিয়ে পুরো ক্যাপিটল প্রদক্ষিণ করে অভিশংসন বিচারের জন্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কংগ্রেসের কাছে হস্তান্তর করেন। এই বিচারে হাউজের প্রধান প্রসিকিউটর জেমি রাসকিন কংগ্রেসে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। অভিযোগে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুতর অপরাধ ও আইন লঙ্ঘন করেছেন।’