বাংলাদেশের সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব সনজীদা খাতুন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী
সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক ভারত সরকারের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পদক ‘পদ্মশ্রী ২০২১’-এ ভূষিত হয়েছেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় এ গুণী দুই ব্যক্তিত্বকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত সরকার।
গতকাল ভারতীয় মিশন থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী ২০২১ খেতাবে ভূষিত হওয়ায় সনজীদা খাতুন এবং লে. কর্নেল (অব.) কাজী
সাজ্জাদ আলী জহিরকে অভিনন্দন।
সনজীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তার বাবা ড. কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন বিখ্যাত পণ্ডিত ও জাতীয় অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। সনজীদা খাতুন একাধারে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সংগীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দার সভাপতি।
সনজীদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
অন্যদিকে লে. কর্নেল (অব.) কাজী
সাজ্জাদ আলী জহির ১৯৫১ সালের ১১ এপ্রিল জন্ম নেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতাযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
সাজ্জাদ আলী জহির ১৯৬৯ সালের শেষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাকুল সামরিক একাডেমিতে সিনিয়র ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আগস্টের শেষে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন।