সংসদে বিল পাস

ট্রাভেল এজেন্সির শাখা খোলা যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ দিতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জাতীয় সংসদ। ২০১৩ সালের -সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২০ গতকাল সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিলটি পাস হওয়ায় এখন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে। বর্তমানে কোনো অপরাধের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানা করার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে। পাস হওয়া বিলে জরিমানার সুযোগ পাওয়া যাবে।

ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। -সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া কোনো ট্রাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে পারবে না।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আইনটি অনুমোদিত হলে নবায়ন আবেদন দাখিলে বিলম্বের অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিলের পরিবর্তে বিধি দ্বারা নির্ধারিত জরিমানা আদায়পূর্বক সনদ নবায়ন এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মালিকানা হস্তান্তর দেশে/বিদেশে শাখা অফিস খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ট্রাভেল এজেন্সি হতে কাঙ্ক্ষিত সেবাপ্রাপ্তি সহজ হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বিএনপির কয়েকজন সংসদ সদস্য বিমানের টিকিট নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন