মামলা প্রত্যাহার না হলে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

১৯ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন ভুয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি মামলা প্রত্যাহার না হলে চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণা দেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। নির্বাচনের ঠিক দুদিন আগে মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে মারামারিতে নিহত-আহতের ঘটনা ঘটছে। আমাদের কার্যালয় ভাংচুর করা হয়েছে, প্রচার গাড়ি ভাংচুর হয়েছে, নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হয়রানি চলছে। এসব বিষয়ে সিইসি রোববার কোনো বক্তব্য দেননি। সাতদিন ধরে আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা করা হচ্ছে থানায় থানায়। ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি থানায় গড়ে ১০টির বেশি মামলা করা হয়েছে। এক হাজারের অধিক আসামি করা হয়েছে। ৬৯ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে রোববার রাত পর্যন্ত। ৪০টি অভিযোগ দিয়েছিলাম ইসিতে। কিন্তু অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, গত সাতদিনে যেসব মিথ্যা মামলা হয়েছে, মামলাগুলোতে যাতে গ্রেফতার করা না হয় সেজন্য কমিশনকে বলেছি। গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি সবসময় ইস্যু তৈরি করে। তারা অতীতেও তা করেছে, এখনো করছে। বিএনপি এখন ডুবন্ত তরী। ডুবন্ত তরীর মাঝিরা যেভাবে নৌকা ডোবার সময় মানুষকে দুষতে থাকে, তারাও তা করছে। মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানুষের তাদের প্রতি আস্থা নেই। মানুষ অতীতে তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া, বোমা সন্ত্রাসের ঘটনাগুলো মনে রেখেছে। তারা নালিশি পার্টি। তাদের নেতাকর্মীদের নাকি গ্রেফতার করা হচ্ছে। আপনার নামে যদি মামলা থাকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলে কিছু বলার থাকে না। দেখার বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে কিনা! আমি তো সে রকম কিছু দেখতে পাইনি। গতকাল নিজের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

রেজাউল করিম সময় আরো বলেন, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবে। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। প্রশাসনের যা কাজ তারা সেটা করবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় আছে। আমরা চাই নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হোক। কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।

সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র নাছির উদ্দীন, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন