৩০% নগদ লভ্যাংশ দেবে সিঙ্গার বিডি

বার্ষিক ইপিএস কমেছে ২৪%

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ২৫০তম পর্ষদ সভায় সুপারিশ করা হয়।

সমাপ্ত হিসাব বছরে সিঙ্গার বিডির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৮৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১০ টাকা ৩৫ পয়সা। হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩২ টাকা পয়সা।

এদিকে গতকালের সভায় কোম্পানিটির নাম সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিবর্তে সিঙ্গার বাংলাদেশ পিএলসি রাখার সুপারিশ করেছে পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ (দ্বিতীয় সংশোধনী)-এর ১১() ধারা অনুযায়ী নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। -সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি।

সর্বশেষ রেটিং অনুসারে সিঙ্গার বিডির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ট্রিপল স্বল্পমেয়াদে এসটি-ওয়ান ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রকৌশল খাতের বহুজাতিক কোম্পানিটি। ২০১৮ হিসাব বছরে ৩০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সিঙ্গার বিডির সর্বশেষ দর ছিল ১৭৯ টাকা ৮০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ১৭৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৩০ টাকা ৬০ পয়সা ১৮৭ টাকা ৪০ পয়সা।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বিডির বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৫৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালক নেদারল্যান্ডসভিত্তিক রিটেইল হোল্ডিংস বিহোল্ড বিভির হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৮১ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৬ দশমিক শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ১৭ দশমিক ২৮, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত প্রান্তিক ইপিএসের ভিত্তিতে যা ২০ দশমিক ৬৩।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন