সিকিউরিটি কাস্টোডিয়ান লাইসেন্স পেয়েছে ইউসিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিকিউরিটি কাস্টোডিয়ান হিসেবে লাইসেন্স পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্যাংকটিকে চিঠি দিয়ে কাস্টোডিয়ান লাইসেন্সের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। লাইসেন্স পাওয়ার ফলে ইউসিবি এখন থেকে কাস্টোডিয়ান সেবা দিতে পারবে। এতে শেয়ারবাজারে ব্যাংকটির সম্পৃক্ততা আরো বাড়বে। বর্তমানে ইউসিবির তিনটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ সেবা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ইউসিবির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৪৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ৭০ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মিলিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৮১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ টাকা পয়সা।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউসিবি। এর মধ্যে শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে টাকা ৪৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ১৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৮ টাকা ৭৭ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ২৬ টাকা ২১ পয়সা।

২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইউসিবি। ২০১৭ হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ, ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ নগদ শতাংশ স্টক এবং ২০১৪ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ইউসিবি শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১০ টাকা ৭০ পয়সা ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।

১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ইউসিবির অনুমোদিত মূলধন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন হাজার ২১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, দশমিক ৮১ শতাংশ সরকার, ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী বাকি ৪১ দশমিক শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন