ট্রাম্প, জো বাইডেন ও সাতক্ষীরায় সুপেয় পানির দুষ্প্রাপ্যতা

রুহিনা ফেরদৌস

ট্রাম্পহীন হোয়াইট হাউজে জো বাইডেন কতটা স্বস্তির আবহ তৈরি করবেন, শুরু হলো সে অপেক্ষা। আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। অন্য সবার মতো জো-কে ঘিরে পরিবেশের পক্ষে অবস্থান নেয়া সাধারণ মানুষ ও পরিবেশবাদীদের প্রত্যাশার পারদ উচ্চ। কেননা নির্বাচনী প্রচারণার সময়েই জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। বিষয়টিকে রীতিমতো সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো কোনো সময় নেই।’ 

ক্ষমতায় থাকাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে লেখেন, ‘গরম কোথায়, চারদিকে তো ঠাণ্ডা।’ একথা তিনি বলেছিলেন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তার ‘অসহযোগী’ অবস্থানকে ন্যায্য করতে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নীতিনির্ধারকরা ট্রাম্পকে যতই অনুরোধ করেছেন, তিনি নিজ অবস্থান ধরে রাখতে ততই গোয়ার্তুমি করেছেন। দ্বিমত পোষণ করে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে এনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি উত্পাদন বৃদ্ধিসহ পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর প্রকল্প বাড়িয়ে এক ধরনের গর্ব করেছেন।  

এসব কাজে ‘ক্ষ্যাপাটে’ প্রেসিডেন্টকে থামানো সম্ভব হয়নি। ১৮ বছর বয়সী পরিবেশবাদী কর্মী গ্রেটা থুনবার্গকেও ছাড় দেননি ৭৪ বছরের ট্রাম্প। গল্পটি অনেকেরই জানা। আবার বলছি। যেবার টাইম ম্যাগাজিনে বর্ষসেরা হিসেবে গ্রেটার নাম এল, ট্রাম্প তখন রীতিমতো এক টুইটে বিষয়টিকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করে বসলেন। আরো বললেন, ‘চিল গ্রেটা, চিল।’ ভাবুন তো, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বসে তিনি কী খোঁচাটাই না দিলেন ছোট এ মেয়েটিকে। গ্রেটা তখন খানিকটা চুপই ছিল। তবে মাস দুয়েক আগে মার্কিন নির্বাচনের সময় ট্রাম্প যখন ভোট চুরির অভিযোগ করে টুইটের পর টুইটে ঝড় তুলেছেন, গ্রেটা তখন টুইট করে বলেন, ‘ব্যাপারটা কিন্তু খুব হাস্যকর। ডোনাল্ডকে আগে তার রাগ সামলাতে মনোযোগী হতে হবে। তারপর কোনো বন্ধুর সঙ্গে পুরনো দিনের সিনেমা দেখতে হবে। চিল ডোনাল্ড, চিল!’

শুধু এ টুইট করাই নয়, জো বাইডেনের পক্ষে ভোটও চেয়েছেন গ্রেটা। কেননা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা কিছু ব্যক্তি বা কোনো একটি দেশের একার লড়াই নয়। এ লড়াই বৈশ্বিক। 

তাই শুধু আমেরিকা কেন, পৃথিবীর বাসিন্দাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় নেই। সময় নেই বাংলাদেশের মানুষের হাতেও। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের যে ১০টি দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দীর্ঘমেয়াদে অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি জিডিপি হারাবে বাংলাদেশ। শুধু তা-ই নয়, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশের ১৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। জিডিপির (দেশজ উত্পাদন) ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষতি হবে। ‘জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ চাপ্টারে’ উল্লেখ করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ জিডিপিতে ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশঙ্কা করা হয়েছে, বাংলাদেশের তিন-চতুর্থাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মান নিচে নেমে যেতে পারে। 

একটা সময় সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে দিত, এপ্রিলের ১৪ তারিখের মধ্যে কালবৈশাখী হবে। জুন থেকে ঢাকায় আর মে মাসে বৃষ্টি পড়বে খুলনায়। কিংবা আসছে বছর অমুক মাসের অমুক তারিখ থেকে শীত নামবে। অনুমানগুলো কিন্তু ঠিক ঠিক মিলে যেত। তাদের কথা অনুযায়ী বৃষ্টি নামত, কালবৈশাখী আসত আর শীত পড়তেও দিন পনেরোর বেশি হেরফের হতো না।  সেসব অভিজ্ঞান আজ বিলীন। প্রকৃতি এখন আর মানুষের অনুমানের আওতায় নেই। পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমরাও নানা ধরনের প্রভাব লক্ষ করছি। 

সাতক্ষীরার শ্যামনগর। এ অঞ্চলে এরই মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির দুষ্প্রাপ্যতা তৈরি হয়েছে। পানিতে লবণাক্ততার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খাবার পানির সংকটে ভুগছে এখানের বাসিন্দারা। গ্রামের সবচেয়ে দরিদ্র লোকটাকেও টাকা দিয়ে লিটার দরে পানি কিনে খেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা আজ থেকে ৫০ বছর পরে ওই এলাকার মানুষের কিডনি সমস্যা বাড়তে পারে। সঙ্গে যোগ হতে পারে আরো নানা ব্যাধি। 

সারা দেশে যেখানে জনসংখ্যা বাড়ছে, সেখানে সাতক্ষীরায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার মাইনাস দশমিক ৪ শতাংশ। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ বসতভিটা, স্থায়ী আবাস ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। আইলা-পরবর্তী সাতক্ষীরার উপকূলীয় আশাশুনি কিংবা শ্যামনগর উপজেলা থেকে ১০ হাজারের বেশি পরিবার নিরাপদ আশ্রয় ও কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে দেখা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে গত দুই বছর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে স্থান বদলেছে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে অভিবাসনের হার। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুসারে, দেশে বর্তমানে গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অথচ সাতক্ষীরায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে। শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দারিদ্র্য মোকাবেলায়ও পিছিয়ে রয়েছে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা। সারা দেশে প্রতি বছর গড়ে ২ শতাংশ হারে দারিদ্র্যের হার কমলেও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় কমছে মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে। লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দেশের উপকূলীয় এলাকার ধনী ও সচ্ছল প্রায় ৫০ শতাংশ পরিবার গ্রাম ছেড়ে এখন জেলা শহরে নতুন করে আশ্রয় গড়ে তুলছে। দরিদ্ররা ভিটেমাটি হারিয়ে শামিল হচ্ছে ভাসমান মানুষের মিছিলে। নদী শাসন, বন ধ্বংসসহ নানা কারণে প্রকৃতি বিপন্ন ও বিপর্যস্ত। পরিবেশবাদীরা সুন্দরবনকে ঘিরে চিন্তায় পড়েছেন। চিন্তিত হওয়া জরুরি বাকিদেরও। অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে আজ থেকে ২০ কিংবা ২৫ বছর পর সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ থাকবে কিনা! এতে জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, অনেক প্রজাতি হারিয়ে যাবে, মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়বে, টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু মানুষের স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের ওপর প্রভাব পড়ছে না, খাদ্যসংক্রান্ত যে দুর্যোগ আসবে তা হবে আরো ভয়াবহ। কারণ উষ্ণায়ন ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ব্যাহত হচ্ছে গতানুগতিক চাষাবাদ কার্যক্রম। ব্যাহত হচ্ছে খাদ্য উত্পাদনও। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে অনেক ধরনের ফসল উত্পাদন এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। যদিও বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বাস উপকূল অঞ্চলে। আর এ মানুষদের জীবিকার প্রধান বা একমাত্র উপাদান হচ্ছে কৃষি। বর্তমানে কৃষি থেকে যে খাদ্যশস্য উত্পাদন হয় তা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এনে দিয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এনে দাঁড় করাবে। সুতরাং এ মুহূর্ত থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি, তা ধরে রাখাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে। নীতিনির্ধারসহ আমাদের করণীয় রয়েছে অনেক। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে প্রতিশ্রুত তহবিল আনার বিষয়ে আমাদের আরো সক্রিয় হতে হবে। দায়ী রাষ্ট্রগুলোর কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা বৈশ্বিক দায়িত্ব। জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন মোকাবেলায় কী করণীয়, আমাদের প্রকৌশলীরা তা জানেন। আমাদের সমর্থন প্রয়োজন। খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যনিরাপত্তা, জীববৈচিত্র্য, পানিনিরাপত্তার পাশাপাশি জ্বালানিনিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রে সমর্থন প্রয়োজন। আমরা যদি খাদ্যনিরাপত্তা, স্বাস্থ্যনিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারি তাহলে বাইরে থেকে সহযোগিতা আসবে। এজন্য সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন ও তদবির করতে হবে। এখানে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাগুলো দূর করতে মনোযোগ দেয়া জরুরি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষতিপূরণ দাবি ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে সরকারকে দরকষাকষির দক্ষতা বাড়াতে হবে। কাজগুলো করার জন্য যে সমন্বয় প্রয়োজন, সেখানে জোর দিতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারেও অন্যদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে। 

সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভার্চুয়াল ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিটে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বিশ্বনেতাদের প্রতি শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি কার্বননিরপেক্ষতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। বিপরীতে বিপর্যয়ের শঙ্কা কয়েক গুণ।  

তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে কিন্তু আমরা আক্রান্ত হতে শুরু করেছি। যেমন যখন বৃষ্টি হওয়ার কথা নয়, তখন বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বর্ষাকালে বৃষ্টির দেখা মেলে না। তাছাড়া যে অঞ্চলে যে সময়ে বৃষ্টি হওয়ার কথা, তখন সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে না। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ এরই মধ্যে কমে গেছে। অচিরে হয়তো এর চেয়েও বেশি বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটবে। ঢাকাতেই আমরা দেখেছি যে হঠাত্ বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন জায়গায় ফায়ার বিগ্রেডকে উদ্ধারকাজে নামতে হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। উপকূলের পাশাপাশি মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়বে নগরাঞ্চলও। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে। নদীভাঙন বাড়বে, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়বে, বজ্রপাত বাড়বে। 

ট্রাম্প গল্পের যবনিকাপাত ঘটেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোকে তিনি যেভাবে এক কলমের খোঁচায় নাকচ করে বিশ্বব্যাপী শঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তেমনটা নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করবেন না। তিনি বরং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অনেক বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তার অবস্থান অনেক বেশি ন্যায্য। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নীতিনির্ধারকরা যখন নড়েচড়ে বসেছেন, তখন আমাদেরও অনেক বেশি কার্যকরী অবস্থান গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। দাতা দেশগুলো স্বচ্ছতা চায়। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রাপ্য তহবিল আনার চেষ্টা করি, তাহলে আমাদের কর্মকাণ্ডগুলোকে স্বচ্ছ ও স্পষ্ট করতে হবে। তুলে ধরতে হবে যে আমাদের কার্যসাধন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সহযোগিতার মানসিকতা এবং বেসরকারি অংশীদার রয়েছে। প্রমাণ করতে হবে যে আমাদের রয়েছে এমআরভি (মেজরেবল, রিপোর্টেবল ও ভেরিফাইয়েবল) ক্যাপাসিটি বা সক্ষমতা।

লেখক: সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন