চার ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

চার সিনিয়র ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ফিফটি একটু শ্লথ গতিতে আসলেও, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট রান তুলেছে ঝড়ের গতিতে। 

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কোন রান না করে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। আলজারি জোসেফের ভেতরে ঢোকা বল ঠেকাতে পারেননি লিটন, সরাসরি আঘাত করে তার প্যাডে। লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আরো একবার ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। কাল মেয়ার্সের কিছুটা ভেতরে আসা বল খেলতে লিটনের মতো ব্যর্থ হয়েছেন শান্তও। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও বাঁচতে পারেননি এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে ২০ রান করেন শান্ত। 

৩৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব নেন অধিনায়ক তামিম ও সাকিব আল হাসান। তবে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হতে পারতেন সাকিব। নিজের বলেই সাকিবের তুলে দেয়া একটু কঠিন ক্যাচটি মুঠোয় পুরতে পারেননি মেয়ার্স। তবে এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টেনে নেন সাকিব। শট খেলার চেয়ে স্ট্রাইক রোটেট করাকেই প্রাধান্য দিচ্ছিলেন এ দুজন। এর মাঝে নিজের ৪৯ তম ফিফটিও তুলে নেন তামিম। এরপর অবশ্য কিছুটা আগ্রাসী খেলতে চেয়েছিলেন তামিম।  কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক। জোসেফের শর্ট বলে শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড উইকেটের ধরা পড়েন তামিম। 

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর থেকে ব্যাটিংয়ে ভালো কিছু করতে পারছিলেন না সাকিব। এ ম্যাচেও ঠিক নিজেদের চেনা রূপে দেখা যচ্ছিল না তাকে। এরপরও মাটি কামড়ে পড়ে থেকে তুলে নিয়েছেন নিজের ৪৮ তম ফিফটি। তবে ফিফটি তুলেই রেমন রেইফারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই অলরাউন্ডার । 

সাকিব ফিরলেও রানের চাকা বেশভালোভাবেই সচল রেখেছেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। দারুণ ব্যাটিংয়ে দুজনে মিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। ৪৭ বলে নিজের ফিফটিও তুলে নেন মুশফিক। ফিফটিতে পৌঁছে অবশ্য বেশি দূর ইনিংস টেনে নিতে পারেননি এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। রান বাড়াতে গিয়ে রেইফারের বলে ক্যাচ দিয়েছেন জোসেফকে। ৫৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় মুশফিক করেন ৬৪ রান। মুশফিক ফিরলেও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন আগ্রাসী।  শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৩ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৬৪ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জোসেফ ও রেইফার দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। 


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন