ঘন কুয়ায়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ২ দফায় ৯ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রবিবার রাত থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে দুই দফায় ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ওই সময় মাঝনদীতে তিনটি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকে থাকে। কনকনে শীতের মধ্যে হাজার হাজার যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে। পরে আজ সোমবার সকাল ১০টায় কুয়াশা কাটতে থাকলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরি যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত আছে। তবে কুয়াশার কারণে নৌপথ দেখতে না পারায় রবিবার রাত ১০টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পদ্মা নদী কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এসময় মাঝ নদীতে খান জাহান আলী ও মাধবীলতা নামে দুইটি ফেরি আটকে পড়ে। বাকী ১৪টি ফেরি দুই ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়। সকাল ৬টার দিকে কুয়াশার প্রকোপ কমে গেলে ফেরি চলাচল শুরু করানো হয়। দ্বিতীয় দফায় আবারো সকাল ৯টায় কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে গেল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সকাল ১০টায় কুয়াশার প্রকোপ কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে পারাপার বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে। এসব যাত্রীবাহী বাস পাটুরিয়া-উথলি সংযোগ সড়কে দীর্ঘ সারিতে নদী পারের অপেক্ষায় আটকে থাকে। এ ছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে পাটুরিয়ায় টার্মিনাল ও উথলী মোড় এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।

ট্রাফিক পুলিশ ও ঘাটসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল ও পারাপার বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের তীব্র চাপ পড়েছে। আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া প্রান্তে তিন শতাধিক যাত্রীবাহী বাস এবং ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকসহ অর্ধশত ছোট গাড়ি আটকা পড়ে পারের অপেক্ষায়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার-এজিএম (বাণিজ্য) তানভির হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে ঘাটে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ পড়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে আগে পারাপার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে। এতে পণ্যবোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন