সংসদীয় কমিটিতে প্রতিবেদন

টিকা নকল হতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আগাম প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনার টিকা নকলের আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের কভিড-১৯ টিকাবিষয়ক একটি প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নকল টিকা প্রতিরোধে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে করোনার টিকা গ্রহণে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি এবং আস্থা অর্জনে দেশীয় ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে করোনার টিকা তৈরির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।

আমদানি নিশ্চিতকৃত টিকার উৎস বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-জুন নাগাদ মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী টিকা পাবে। সেই হিসাবে কোটি ৪০ লাখ মানুষ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কভিড টিকা জাতীয় পর্যায় হতে জেলা পর্যায়ে পৌঁছানো সাপেক্ষে তা প্রয়োজনীয় লজিস্টিক মালামালসহ পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়ে একটি রুট প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।

টিকা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রিকোয়ালিফিকেশন ছাড়াও ইউএসএ, জার্মানি, ফ্রান্স, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান প্রভৃতি দেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত টিকা দেশে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কভিড টিকাটি এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর টিকাটি দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন নিবন্ধন, টিকা কার্ড, সম্মতিপত্র, টিকা সনদ প্রদানের জন্য তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের আইসিটি বিভাগের করা সুরক্ষা ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কার্ড পাওয়া যাবে, করোনা টিকা নেয়ার সময় কার্ডটি কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। নিবন্ধন করতে একজনের - মিনিট সময় লাগবে।

টিকা সংরক্ষণ পরিবহনের প্রস্তুতি বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকা সংরক্ষণের জন্য স্টোরের স্থান নির্ভর করবে প্রতিবারে কী পরিমাণ টিকা আসবে।

টিকা সুরক্ষার জন্য সব পর্যায়ে ইপিআই স্টোরে এবং টিকা পরিবহনের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিতের জন্য সব সময় গার্ডের ব্যবস্থা রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া টিকা পরিবহনের সময় এসকোর্ট রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে অবহিত করতে হবে, যাতে ফেরিঘাটে বা যানজট সৃষ্টি না হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন