হোয়াইটওয়াশের সঙ্গে সুপার লিগেও চোখ রাখছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দীর্ঘ সময় পর দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবালের দল। লক্ষ্য এখন প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেয়া। তাছাড়া সিরিজ নিশ্চিত করলেও এই ম্যাচটি একেবারে নিয়ম রক্ষার ম্যাচও নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের হিসাব নিকাশ। এই তালিকায় শীর্ষে থাকা সাত দল এবং স্বাগতিক ভারত সরাসরি ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। যেখানে দুই ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে লাল সবুজ জার্সিধারীরা, সবার ওপরে আছে অস্ট্রেলিয়া। অতিথিদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে অবস্থান আরো সুনিশ্চিত করতে পারবে তামিমবাহিনী।

এছাড়া জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে তা আসন্ন টেস্ট সিরিজেও বাংলাদেশকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

ম্যাচটিকে গুরুত্বপূর্ণ মানলেও বাংলাদেশ দলের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙা অনেকটাই নিশ্চিত। এ ম্যাচে বাজিয়ে দেখা হতে পারে একাধিক তরুণ ক্রিকেটারকে। তবে দলে সুযোগ যে-ই পাক না কেন, অধিনায়ক তামিমের আস্থা শতভাগ। খুব বেশি পরিবর্তন না আনার ইঙ্গিত দিয়ে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলেন, আমরা হয়তো কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারি। তবে যেই একাদশে আসুক সবারই ম্যাচ জেতানোর সক্ষমতা রয়েছে। ড্রেসিংরুমে যারা আছে সবারই ম্যাচ জেতানোর ক্ষুধা আছে। মাঠে সবাই নিজেদের প্রমাণ করতে চায়। সিরিজটি আমরা জিতেছি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্ট পাওয়া এখনো বাকি আছে।

কয়েকটি পরিবর্তন এলেও বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার হয়তো শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। আগের দুই ম্যাচেই কম লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে নিজেদের বাজিয়ে দেখার খুব বেশি সুযোগ পায়নি ব্যাটসম্যানরা। তারওপর মিরপুরের উইকেটও ব্যাটসম্যানদের ঠিক সহায়ক ছিল না। ভালোভাবে ইনিংস শুরু হলেও সেগুলো পরিণতি পাচ্ছিল না। লক্ষ্য ছোট হওয়ার কারণে ব্যাটসম্যানদের অনেক ভুল ত্রুটিও আড়াল হয়ে গেছে। শেষ ওয়ানডেতে তাই নিজেদেরকে পরখ করে নিতে চাইবেন সাকিব-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। অন্যদিকে ব্যাটিংলাইন অপরিবর্তিত থাকলেও বোলিং লাইনে বিশ্রাম পেতে পারেন অভিজ্ঞ দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। সেক্ষেত্রে হয়তো তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম দলে আসতে পারেন। মেহেদী হাসান মিরাজও হয়তো এই ম্যাচে বিশ্রাম পেতে পারেন। 

প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম মনে করেন, যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে ক্যারিবিয়ান দলটি। তিনি বলেন, প্রথম দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো করতে পারেনি। কিন্তু তারা ভয়ঙ্কর দল, যেকোনো সময় ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

পাশাপাশি নিজেদের উন্নতিরও অনেক সুযোগ দেখছেন তিনি, উন্নতির আরো জায়গা আছে। পরিপূর্ণ ম্যাচ খুব সময়ই খেলা যায়। আমরা তিন বিভাগেই আরো উন্নতি করতে পারি। বোলিংয়ে আরো ভালো করা সম্ভব। ফিল্ডিংয়ে উন্নতির সুযোগ আছে অনেক। ব্যাট হাতে ভালো শুরু করলেও শেষ করে আসতে পারছে না। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে উন্নতির বিকল্প নেই। ঘরের বাইরের সিরিজের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

সবমিলিয়ে আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বিশেষত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনিয়মিত দল হওয়াই বাংলাদেশের জয় অনেকটাই প্রত্যাশিত। তবে দলটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বলেই যত ভয়। যেকোন মুহূর্তে ম্যাচের অবস্থা ঘুরিয়ে দিতে পারে দলটি। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন