ক্রিসমাসেও প্রত্যাশিত বিক্রি দেখেনি ব্রিটিশ রিটেইলাররা

বণিক বার্তা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের রিটেইলারদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর মোক্ষম সুযোগ ছিল ডিসেম্বর। ক্রিসমাসকে কেন্দ্র করে সময়ে ব্যাপক আকারের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এক রকম প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু দিন শেষে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। গ্রাহক ব্যয়ে সবচেয়ে বাজে বছরের নিদর্শন হয়েই থাকল মাসটি। যুক্তরাজ্যের খুচরো বাজারের দুরবস্থার চিত্র উঠে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে। খবর গার্ডিয়ান।

জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, দ্বিতীয় লকডাউন শিথিল করার পর ব্রিটেনে রিটেইল বিক্রির পরিমাণ বেড়েছিল দশমিক শতাংশ, যা কিনা অর্থনীবিদদের করা ভবিষ্যদ্বাণীর চেয়ে অনেক কম। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধি।

মহামারীর কারণে সার্বিকভাবে বিক্রি কমলেও গত বছর বৃদ্ধি পেয়েছিল অনলাইন বিক্রি। কিন্তু এর পরও সব মিলিয়ে বছরজুড়ে রিটেইল বিক্রি হ্রাস পেয়েছে দশমিক শতাংশ। রিটেইলাররা অবশ্য ডিসেম্বরের শুরুতে বিক্রিতে দারুণ অগ্রগতির কথাও বলেছিলেন। কিন্তু ক্রিসমাসের কয়েক দিন আগে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনের কারণে কঠিন বিধিনিষেধ ফিরে এলে সেই পুনরুদ্ধার ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পাশাপাশি উৎসবের মৌসুমে ফ্যাশন খাতে ব্যয় বাড়লেও খাবারের বিক্রি সংকুচিত হয়েছে দশমিক শতাংশ, যা মূলত নভেম্বরের দশমিক শতাংশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি হার থেকে পতন। সে সময় অবশ্য পাব, রেস্টুরেন্ট অন্যান্য -জরুরি রিটেইল প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভালোই সুবিধা পেয়েছে সুপারস্টোরগুলো।

তবে পরিসংখ্যান বলছে, সব মিলিয়ে রিটেইলাররা বাজে একটি বছর কাটিয়েছে। যেখানে মহামারীতে অনেক রিটেইলার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন। ফলে প্রচুর দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রচুর মানুষ চাকরিচ্যুত হয়।

ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী ইলিন ডিকিনসন বলেন, রিটেইলাররা উৎসবে যে বৃদ্ধি আশা করেছিলেন তারা সেটি দেখেননি। পাশাপাশি নতুন বিধিনিষেধের অর্থ হচ্ছে সরকারের কাছ থেকে জরুরি ভিত্তিতে আরো বেশি সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, শেষ মুহূর্তে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মাঝে পড়ার কারণে রিটেইলারদের জন্য কোনো ক্রিসমাস উদযাপন বলে কিছু ছিল না। লকডাউনের মাঝে রিটেইলারদের টিকে থাকতে ব্যাপক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যেখানে ভাড়ার বোঝা ক্রমেই বাড়ছে এবং এপ্রিলের আগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ চালু হওয়ার কোনো আশাও নেই। সরকারের উচিত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রমগুলোকে সহায়তা প্রদান করা। চাকরি, দোকান স্থানীয় সম্প্রদায়কে বাঁচাতে এখনই জরুরি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে।

এর বাইরে ডিপার্টমেন্ট স্টোর এবং অন্য দোকানগুলো, যেমন জুয়েলারি, কসমেটিক খেলনা বিক্রেতারাও রেকর্ড পরিমাণ বার্ষিক হ্রাসের কথা বলছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন