ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে কিউবার ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ দাবি করেন। খবর এএফপি।
জোহানা টাবালাদা নামের সিনিয়র সেই কর্মকর্তা এক ই-মেইল বার্তায় বলেন, এ সময়ের মাঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং কিউবার অর্থনৈতিক ক্ষতিও বিশাল। আমাদের হিসাবে এ ক্ষতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি ডলার।
জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে হোয়াইট হাউজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেয়া ট্রাম্প শুরু থেকেই নিজের শক্তিকে ব্যবহার করেছেন কিউবাকে চাপে রাখার জন্য। এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় মদদ দেয় এমন দেশের তালিকায় কিউবা পুনরায় ফিরিয়ে এনেছে। অথচ ২০১৫ সালে তত্কালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার নাম তালিকা থেকে সরিয়ে দেন। যাকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কিউবা নিয়ে ওবামার ইতিবাচক অবস্থানগুলো বদলে দিতে শুরু করেন ট্রাম্প। টাবালাদা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিউবার বিরুদ্ধে ২৪০টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
যেখানে আমেরিকার জাহাজ দ্বীপে থামা, কিউবার বিভিন্ন কোম্পানি এবং শীর্ষ কর্তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা, দ্বীপটিতে ব্যবসা করে আসাদের বিরুদ্ধে মামলা করা এবং বিদেশে কাজ করা কিউবানদের দেশে টাকা পাঠানোকে কঠিন করে তোলাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিবৃতিতে কিউবার পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নেয়া পদক্ষেপগুলো কিউবার মানুষের জীবনযাত্রার মানে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তবে টাবালাদা আশা করছেন নতুন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের অধীনে দুই সম্পর্ক আবারো বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বাইডেনও অবশ্য কিউবার ব্যাপারে ইতিবাচক থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।