বিদায়ী বছরের নভেম্বরের শেষ ভাগ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যের দামে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গ্লোবাল ডেইরি ট্রেড (জিডিটি) অকশনে দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ননিযুক্ত ও ননিবিহীন গুঁড়ো দুধ এবং মাখনের বাড়লেও কমেছে পনিরের গড় দাম। খবর রয়টার্স ও নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
নিউজিল্যান্ডে গত ১৯ জানুয়ারি সর্বশেষ জিডিটি বা দুগ্ধপণ্যের আন্তর্জাতিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা চলতি বছরের দ্বিতীয় নিলাম। চলতি বছরের দ্বিতীয় জিডিটি অকশনে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ৯৮২ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ হয়েছে। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ২৯ হাজার ৬০৬ টন দুগ্ধপণ্য। নিলামে প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৯৩ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্য দিয়ে টানা পাঁচ নিলাম ধরে দুগ্ধপণ্যের গড় দামে চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে।
সর্বশেষ জিডিটি নিলামে মাখন, ননিযুক্ত ও ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দাম বেড়েছে, কমেছে পনিরের। জিডিটি প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এ নিলামে প্রতি টন মাখনের গড় দাম ছিল ৪ হাজার ৭৩৫ ডলার, যা আগের নিলামের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
একই চিত্র দেখা গেছে ননিযুক্ত ও ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দামেও। বছরের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নিলামে প্রতি টন ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮০ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। এ নিলামে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের গড় দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩ হাজার ২৪৩ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। এ সময় সব ধরনের দুগ্ধপণ্যের মধ্যে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
চলতি বছরের দ্বিতীয় জিডিটি নিলামে পনিরের গড় দাম আগের নিলামের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৪ হাজার ৮২ ডলারে নেমে এসেছে। এ সময় ল্যাকটোজের গড় দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ১ হাজার ১৭৩ ডলারে, যা আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে ধারাবাহিক চাঙ্গা ভাব বজায় থাকলেও দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক খাত গত বছর করোনাকালীন টালমাটাল পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গেছে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যায় দুগ্ধপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি। জিডিটি অকশনের সূচক একবার বাড়ে তো পরের নিলামেই কমে আসে। চরম অনিশ্চয়তা দেখা দেয় দুগ্ধপণ্যের বিশ্ববাজারে।
গত ১৭ নভেম্বরের জিডিটি নিলামে চাঙ্গা ভাব ফিরে আসে। ওই নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এরপর থেকে আরো এ সূচক নিম্নগামী হয়নি। ২০২১ সালের প্রথম আন্তর্জাতিক নিলামেও দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক গড় মূল্যসূচকে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল। পরবর্তী জিডিটি নিলাম ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
