ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চীনের

বণিক বার্তা অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন।  এই তালিকায় রয়েছেন বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ ২৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।  তাদের বিরুদ্ধে চীনের ব্যাপারে ‘আপত্তিকর সংস্কার এবং বিদ্বেষের’ অভিযোগ তুলেছে শি জিন পিংয়ের প্রশাসন।

২০ জানুয়ারি সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দেয়া এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তারা ‘চীনবিরোধী রাজনীতিক’ ছিলেন। এটি বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে দুর্বল করে দিয়েছিল। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একাধিক বেপরোয়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছে, প্রচার করেছে এবং কার্যকর করেছে যা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে মারাত্মক হস্তক্ষেপের সামিল।  এগুলো চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছে, চীনা জনগণকে নাখোশ করেছে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।

চীনের এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের শাসনামলে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যকার বিদ্বেষপূর্ণ এবং প্রায়শই বৈরী সম্পর্ককেই নির্দেশ করে। 

বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সাবেক বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোও রয়েছেন।  আরো রয়েছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন এবং তার সাবেক ডেপুটি ম্যাট পটিংগার; সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলেক্স অ্যাজার এবং জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্রাফ্ট।  ট্রাম্পের সাবেক প্রধান সহচর স্টিভ ব্যানন এবং সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনও এই তালিকায় রয়েছেন। 

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, এই ২৮ জন সাবেক কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাওতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।  এছাড়া, এই ব্যক্তিদের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোও চীনের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না।

আজকের এই বিবৃতি আসার আগে ট্রাম্প প্রশাসন চীনকে লক্ষ্য করে একাধিক চূড়ান্ত পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছিল।  চীনা কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ দিনে চীনের বিরুদ্ধে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যার অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। 

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন