শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ছুটিতে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। গতকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য আসনের মোতাহার হোসেন সাবেক হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন দাবি উত্থাপন করেন।

লালমনিরহাট- আসনের সংসদ মোতাহার হোসেন বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মোতাহার হোসেন বলেন, তিস্তা নদী আমার এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। ভারত থেকে যে পানি আসে তা খুব সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হলো না। যত দ্রুত সম্ভব চুক্তি করা গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে।

সরকারি কাজে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সংসদে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু আইন পাসের পর তা যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এটি করার অর্থ কী? স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল কোনো বিভাগই টেন্ডারে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন না। যে কারণে এই ইট ব্যবহার হচ্ছে না। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা করতে ৮৫ লাখ টাকা লাগে। প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তা করার পর ছয় মাসও রাস্তা ধরে রাখা যায় না।

অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সরকারি দলের এসএম শাহজাদা, সংরক্ষিত নারী আসনের খালেদা খানম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন