দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গেলে কঠোর ব্যবস্থা: সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করলে যেকোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল বলেন, বিদ্রোহী তাদের মদদদাতাদের ছাড় দেয়া হবে না। পরবর্তী ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে যেকোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে বা কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছিল তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে, সরকার নাকি করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছিলেন লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিত্সায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আল্লাহর রহমতে এখনো তা হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের আক্ষেপ। এজন্য তারা মনোযন্ত্রণায় ভুগছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিন-রাত সেবা দিয়েছে, তখন বিএনপি উটপাখির মতো বালিতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিল। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে, সরকার ব্যর্থ।

তিনি বলেন, বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ মানুষের কল্যাণে যেকোনো কাজ প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি। সরকার দেশের সফলতা এবং অর্জন বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরায়। তাদের আমলে প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে সামান্যতমও দ্বিধাবোধ করে না।

আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, করোনার অভিঘাত যেভাবে সরকার সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে এবং করোনার টিকা সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা টিকা প্রদান কাজও স্বচ্ছতা, সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করবে শেখ হাসিনা সরকার। বিএনপির কাজই হচ্ছে বসে বসে মিথ্যাচার করা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলে, মিথ্যাচার আর অন্ধ সমালোচনা ছাড়া তাদের অন্য কোনো সক্ষমতা নেই।

পুরুষ নারী শ্রমিকদের বেতনবৈষম্য দূর করতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নিশ্চয়তা, চাকরির নিরাপত্তা এবং শ্রমিক কল্যাণ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে শেখ হাসিনা সরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ। দেশে ৪৩টি শিল্প খাতের মধ্যে ৪০টি খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি শতভাগ বৃদ্ধি করে হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষিকে শিল্পে রূপান্তরের পাশাপাশি সরকার কৃষিকাজে নিয়োজিতদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

সভায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিক সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের শ্রম জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন