সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধ

২ মাসের কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি শহরের বাস টার্মিনালসংলগ্ন কুতুবনগরের শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ কুতুবনগর মাদ্রাসা সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে ২০১৫ সালে উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি তত্কালীন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ব্লক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল একই বছরের ২৭ জুন। দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ কুতুবনগর মাদ্রাসা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি শুষ্ক মৌসুমে যদি ভাঙন রোধে শতভাগ কাজ শেষ না করা হয় তাহলে আগামী বর্ষায় দুটি স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। যদিও ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দাবি, এখন পর্যন্ত ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।

কুতুবনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান জানান, সুগন্ধা নদীর তীরঘেঁষেই রয়েছে শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী কুতুবনগর জামে মসজিদ। মসজিদ কেন্দ্র করেই স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান মুন্সী ১৯৬৫ সালে ফোরকানিয়া (কুরআন শিক্ষা) মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৮৭ সালে দাখিলে উন্নীত হয় এবং ২০০১ সালে আলিম শ্রেণীতে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় অবদান রাখছে। বর্তমানে সেখানে হাফিজি নুরানী বিভাগেও শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে।

তিনি বলেন, নদীভাঙনের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কুতুবনগর ইসলামী কমপ্লেক্স। ৩০০ গজ দূরত্বের স্থানে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের একেবারে কাছেই ভাঙন চলে আসছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধের উদ্যোগ নেয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধে মসজিদ-মাদ্রাসা রক্ষার্থে তত্কালীন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ব্লক নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এরপর কাজও শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি নজরদারির অভাবে দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড উপসহকারী প্রকৌশলী ব্লক নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধায়ক সাজেদুল বারী জানান, সুগন্ধার নদীভাঙন থেকে কুতুবনগর মসজিদ মাদ্রাসা রক্ষার্থে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাক্কলন তৈরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সিসি-বিপি-০১/১৮-১৯ প্যাকেজে ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ১৬০ টাকা বরাদ্দে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ওই বছরের ২৭ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আরো দুবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে নদীভাঙন থেকে মসজিদ মাদ্রাসা রক্ষার্থে কংক্রিট ব্লক ফেলে ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন