শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৩ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল থেকে নতুন মৌসুমের পর্বগুলো শিশুরা দেখতে পাবে তিন টেলিভিশনের পর্দায়। এবারের পর্বগুলোতে শিশুদের খেলার মাধ্যমে শেখার পাশাপাশি শিশু ও তার পরিবারকে কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করার বিষয়ে গুরুত্ব্ব দেয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিসিমপুর সিজন-১৩ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিভির মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশীদ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু, দুরন্ত টেলিভিশনের পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী, ইউএসএআইডির এডুকেশন টিম লিডার নিকোলাস ভিভিও, এশিয়াটিকের ভাইস চেয়ারম্যান সারা যাকের, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সিসিমপুরের বন্ধু খুশি, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম, রায়া ও গ্রোভার।
নতুন পর্বগুলোতে সিসিমপুরের চরিত্র গ্রোভার ও রায়া খেলতে খেলতে শেখার নানা বিষয় নিয়ে হাজির হবে শিশুদের সামনে। আর সিসিমপুরের জনপ্রিয় চরিত্র ইকরি তার বন্ধুদের বাংলা বর্ণমালা লিখতে শেখাবে। মজার এনিমেশন, স্যান্ডআর্ট ও গ্রাফিকসের মাধ্যমে শিশুরা শিখবে বাংলা বর্ণ ও শব্দ। পাশাপাশি সিজন-১৩-তে শিকুর ‘বলতে পারো’
সেগমেন্টকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত পর্ব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস, পরিবেশের যত্ন, সামাজিক ও আবেগিক দক্ষতাবিষয়ক মজার গল্প থাকছে। থাকছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুদের জন্য আরো অনেক নতুন বিষয়।
প্রতি শুক্রবার দুরন্ত টিভিতে সকাল ৮টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে সকাল ৯টায় ও বিটিভিতে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রচারিত হবে সিসিমপুরের নতুন পর্বগুলো।
‘সিসিমপুর’
বিশ্বখ্যাত মার্কিন টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘সিসেমি স্ট্রিট’-এর বাংলাদেশী সংস্করণ। শিশুদের ভাষা, সাক্ষরতা, গণিত, সামাজিক, মানসিক ও মানবিক দক্ষতা বিকাশের জন্য ‘সিসেমি স্ট্রিট’
কাজ করছে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে।
প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরো সম্পন্ন, আরো সবল এবং আরো সদয়’—এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ। বাংলাদেশে সিসিমপুরের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয় ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায়। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।