টাঙ্গাইলের সখীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা করে আনিছুর রহমান রবিন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ওই ছাত্রের জমজ ভাই আশিকুর রহমান রনিও (১৮) আহত হয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সাধীন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চতলবাইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত ওই কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ওই রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তাজমুল ইসলাম (১৮) নামের আরেক কলেজছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তাজমুল উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের প্রবাসী নুরুল ইসলামের ছেলে।
নিহত আনিছুর রহমান রবিন উপজেলার চতলবাইদ গ্রামের প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে। এ বিষয়ে সখীপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আনিছুর রহমান ওরফে রবিনের ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায়, দুইদিন আগে ‘মৃত্যু খুব কাছেই’ লিখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার বন্ধুরা এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন।
আহত আশিকুর রহমান রনি জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দুই ভাই, সহপাঠী এক খালাতো বোন ও আরো দুই শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে আড়াইশ গজ দূরে বাউল গানের আসরে যান। রাত ১১টার দিকে সবাইকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ পেছন থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা করে মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সহপাঠী কলেজছাত্রী ও দুই শিশু দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। তাদের চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত আনিছুর রহমান রবিন ও আশিকুর রহমান রনিকে উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই সময় কতর্ব্যরত চিকিত্সক আনিছুর রহমান রবিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বলেন, মারামারির ঘটনার কথা বলা হলেও নিহত আনিছুর রহমান রবিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে আনিছুরের দুই চোখ লাল ছিল বলে লেখা হয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি একে সাইদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে আনিছুরের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই জানা যাবে।
