মহামারীতে সরকারি ব্যয় কমেছে ৭.৫৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সরকারি ব্যয় কমেছে।  গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যয় কমেছে ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের উপস্থাপিত চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদনে থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।  সামনের দিনগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধির জোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারি ব্যয় হয়েছে ৬২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। যা বাজেটের ১১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এ সময় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় মোট ব্যয় ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পরিচালন ব্যয় ১ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা থেমে নেই উল্লেখ করে প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী বলেন, করেনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মোট পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। জিডিপির ক্রমাগত হারে বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরও এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমাদের জিডিপি অনেক ভালো। বর্তমানে জিডিপি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে, বর্তমানে মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৬৬ ডলার। আমাদের রফতানি আয় ৪৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়া। আমরা খুব শিগগিরই অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবো।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য দেখিয়েছে।  কভিড মোকাবিলায় সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

করোনায় বৈশ্বিব বিপর্যয়ে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, গতবারের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমদানি ব্যয় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। বিপরীতে কর রাজস্ব ৪ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রবাস আয় ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হেয়েছে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন