বোলিং নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব আল হাসান ও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বোলিং সহায়ক উইকেটে বোলাররাই মূলত জয়ের ভিত গড়ে দেয় বাংলাদেশকে। এরপর জবাব দিতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারালেও তা বাংলাদেশের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ১২২ রানের লক্ষ্য তাড়া বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। 

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই সতর্ক ছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে আকিল হোসেনের ঘূর্ণি জাদুতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন লিটন। ১৪ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। এরপর আকিলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাত্র ১ রান করে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে একপ্রান্তে অবিচল থেকে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন জেসন মোহাম্মদ। তামিম যখন ফিরেন দলের রান তখন ৮৩। এরপর দলীয় ১০৫ রানে ফিরেন সাকিব। ১৯ রান করা সাকিব আকিলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক (১৯) ও মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ (৯)। 

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন দলের প্রধান পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ফিরিয়ে দেন ৭ রান করা ওপেনার সুনীল এমব্রিসকে। এরপর বৃষ্টি নামলে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়ার। সে সময় ৩ দশমিক ৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৫।

বৃষ্টির থামার পর ফের বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসান মুস্তাফিজ। তার বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে লিটন ফেরান ৯ রান করা জশোয়া ডি সিলভাকে। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য বিপদ আরো বাড়ান প্রত্যাবর্তনে বল জ্বলে উঠা সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৫ রানে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন ম্যাকার্থি, কিন্তু লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান। এটি ঘরের মাঠে সাকিবের ১৫০ তম উইকেট। দলীয় ৫৬ রানে অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদকে ফিরিয়ে ফের উইন্ডিজ শিবিরে ধাক্কা দেন সাকিব। সাকিবের ঘূর্ণিতে বেসামাল জেসন স্টাম্পিং হন মুশফিকুর রহিমের হাতে। রানের খাতায় আর কিছু যোগ হওয়ার আগে এনক্রুমাহ বোনারকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এরপর কাইল মেয়ার্স ও রভম্যান পাওয়েল জুটি চেষ্টা করে ইনিংস মেরামতের। এ দুজন মিলে দলকে নিয়ে যান ১১৫ রানে। কিন্তু এরপর সফরকারী শিবিরে পরপর দুই বলে জোড়া আঘাত হানেন অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ। প্রথমে দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন বিপজ্জনক হয়ে উঠা পাওয়েলকে। ৩১ বলে ২৮ রান করেন পাওয়েল। পরের বলেই  লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রেমান রেইফেরকে। পরের ওভারেই উইকেট শিকারের তালিকায় নাম লেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। হালকা টার্ন করা বলটি ঠিকঠাক খেলতে ব্যর্থ হয়ে লিটন দাসের তালুবন্দি হন মেয়ার্স। ৪০ রান আসে মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। এক ওভর পর আবারো বল হাতে জাদু দেখান হাসান। এবার ফিরিয়ে দেন আকিল হোসেইনকে। এরপর শেষ উইকেট হিসেবে আলযারি জোসেফকেও ফিরিয়ে দেন সাকিব। মাত্র ৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সাকিব, ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। 

সাকিব-হাসানদের আগুনে বোলিংয়ে ১২২ রানে শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন