দেশে করোনায় একদিনে ৮ জনের মৃত্যু

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।  গত প্রায় সাড়ে আট মাসের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন মৃত্যু। সবশেষ গতবছরের ৮ মে এক দিনে ৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  আর পরের দিন অর্থাৎ ৯ মে মারা যান ৮ জন।

আজ বুধবার বিকালে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৭ হাজার ৯৫০।   এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬৫৬ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শনাক্ত রোগী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৬৮৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬১৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারী আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে হার কমতে থাকে। নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। 

তবে নতুন বছরের প্রথম দিন ৯৯০ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২ জানুয়ারি তা নেমে আসে ৬৮৪ জনে। এর পরের চার দিন তা ৮০০ থেকে ৯০০ এর ঘরে ওঠানামা করতে দেখা যায়। এই ৬দিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যাও ৩০ এর নিচে ছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয় গত ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। 

এছাড়া প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন