ছয় বিতরণ কোম্পানির বকেয়া গ্যাস বিল ৯ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশের ছয়টি বিতরণ কোম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে বর্তমানে বকেয়া গ্যাস বিলের পরিমাণ হাজার ১৯ কোটি লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বকেয়া তিতাস গ্যাসের। তাদের বকেয়া বিলের পরিমাণ হাজার ৬৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

গতকাল জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্যমতে, তিতাস ছাড়াও বাকি পাঁচ বিতরণ কোম্পানির মোট বকেয়ার পরিমাণ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির বকেয়া ৬৯৬ কোটি ৮১ লাখ, কর্ণফুলীর ৮৪৪ কোটি ৯৫ লাখ, জালালাবাদের ৪৮৩ কোটি ৩২ লাখ, পশ্চিমাঞ্চলের ১৯৫ কোটি ১৯ লাখ সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১২০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জাতীয় সংসদে তুলে ধরেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ টিম গ্রাহক আঙিনা পরিদর্শনপূর্বক বকেয়া বিল তাত্ক্ষণিকভাবে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ। এক্ষেত্রে যেসব গ্রাহক বিল পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছেন, তাদের সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করা। এছাড়াও সারা বছর রাজস্ব ডিপার্টমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বকেয়া বিল অনাদায়ে গ্রাহকের সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়ে থাকে।

একই সংসদ সদস্যের আরেক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী গত ১০ বছরে তিতাস গ্যাসের সিস্টেম লসের তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিস্টেম লস প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এলেও আবার বেড়েছে। ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিস্টেম লস হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে তিতাসের দশমিক ৭১ শতাংশ সিস্টেম লস হয়।

প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দশমিক ১৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে দশমিক ৮২ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক শূন্য শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দশমিক ১৭ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে শতাংশ সিস্টেম লস হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন