হিলি স্থলবন্দর

জটিলতা কাটিয়ে চাল আমদানি শুরু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

এইচএসকোড নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে চারদিন বন্ধ থাকার পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।

গতকাল দুপুর ১২টায় ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। এর আগে গত বুধবার থেকে রোববার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। যদিও সরকারের অনুমোদন পাওয়ার দীর্ঘ দেড় বছর পর জানুয়ারি থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছিল।

আমদানিকারক শাহিনুর রেজা বলেন, দেশের বাজারে চালের অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল ভারত সরকার। সে মোতাবেক জানুয়ারি থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করা হয়, ফলে দেশের বাজারে চালের দাম কমতেও শুরু করে। কিন্তু চারদিন ধরে এইচএসকোড নিয়ে সমস্যাজনিত কারণে ভারত চার রফতানি বন্ধ রেখেছিল। গতকাল বাংলাদেশ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে এইচএসকোড পরিবর্তন করে দিয়েছে, ফলে বন্দর দিয়ে আজ থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। চালগুলো দেশের বাজারে বাজারজাত শুরু হলে চালের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, দেশের বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য যে এইচএসকোডে সরকার চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল, সেই কোডে ভারতীয়রা চাল রফতানি করতে চাচ্ছিল না। কারণে চারদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ ছিল। এতে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় বেশকিছু চাল আটকা পড়ে ছিল, আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে গেছি। তবে ইতোমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে সেই কোড পরিবর্তন করে দিয়েছে।

এদিকে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি তিনদিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু করেছিলেন আমদানিকারকরা। তবে দুইদিন আমদানি করে লোকসানের কারণে আবারো আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। কেননা দেশীয় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একই হওয়ায় দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদায় পতন ঘটেছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ আমদানিতে পড়তা না হওয়ায় লোকসানের কারণে ১৩ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। তিনদিন বন্ধের পর ১৬ জানুয়ারি বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ১৭ জানুয়ারি আসে এক ট্রাকে ২৫ টন পেঁয়াজ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন